কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
কোটালীপাড়া
বিধি ভেঙে কিশোরকে বিদ্যালয়ে নিয়োগ
* চাকরির বয়স পূরণের আগেই ভেন্নাবাড়ী উচ্চবিদ্যালয়ে নিয়োগ * ১৮ বছর হওয়ার পর যোগদান করানো হবে দাবি প্রধান শিক্ষকের
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় একটি বিদ্যালয়ে সরকারি চাকরি বিধি ভেঙে করে ১৭ বছরের এক কিশোরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে অন্য দুই পদে টাকার বিনিময়ে নিয়োগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওইসব পদে চাকরি প্রার্থী ব্যক্তিরা। উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের ভেন্নাবাড়ী উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার ভেন্নাবাড়ী উচ্চবিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক, আয়া ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে ৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এদের মধ্যে নয়ন বল্লভ নামে ১৭ বছরের এক কিশোরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ প্রার্থী প্রদীপ বালা বলেন, ‘সব যোগ্যতা থাকার পরও শুধু ঘুষ দিতে না পারায় আমাকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ৩টি পদেই সভাপতি দিলীপ কুমার গাইন ও প্রধান শিক্ষকসহ নিয়োগ কমিটির সদস্যরা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছেন। এর মধ্যে নয়ন বল্লভ নামে ১৭ বছরের এক কিশোরও রয়েছে।’ তিনি এই নিয়োগ বাতিলের দাবি জানান।
জানতে চাইলে বিদ্যালয়ে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য ও সহকারী প্রধান শিক্ষক অমল চন্দ্র বসুর বলেন, ‘কাকে কোন পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তা আমার জানা নেই। আমাদের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গবিন্দ চন্দ্র বাড়ৈ ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরে আলম সিদ্দিক আমাকে যেখানে স্বাক্ষর করতে বলেছেন, আমি সেই জায়গায় স্বাক্ষর করেছি।’
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক গবিন্দ চন্দ্র বাড়ৈ বলেন, ‘নিয়োগ দেওয়ার আগে নয়ন বল্লভের বয়সের বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। নিয়োগের পরে জানতে পারলাম, তার বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হতে কয়েক মাস বাকি আছে। আমরা ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার পর নয়ন বল্লভকে অফিসিয়াল ভাবে যোগদান করাবো। এই নিয়োগে ঘুষ গ্রহণের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।’ তবে বয়স পুরনের আগেই কাউকে নিয়োগ দিয়ে রাখা যায় কি না, তার উত্তর পাওয়া যায়নি।
ঘুষ গ্রহণের কথা অস্বীকার করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিদ্দিক নুর আলম বলেন, ‘নিয়োগ পরীক্ষায় যারা আবেদন করে আমরা তাদের সবাইকে তো আর চাকরি দিতে পারব না। যারা নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়, তারাই ঘুষ গ্রহণের কথা তুলে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেন।’ জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ‘নিয়োগে অনিয়ম বিষয়ে আমি একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে গ্রহণ নেওয়া হবে।’
"