আলী আজীম, মোংলা (বাগেরহাট)
মোংলায় চাকরির প্রলোভন, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

বাগেরহাটের মোংলায় বেসরকারি সংস্থা (এনজিও)তে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মো. শাহ আলম ও সপ্না মন্ডলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা বাদী হয়ে মোংলা উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্ত শাহ আলম মিঠাখালি ইউনিয়নের গোয়ালিরমেঠ এলাকার এবং একই ইউনিয়নের মৌখালী এলাকার সপ্না মন্ডল।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তরা একটি এনজিও প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত আছেন। ভুক্তভোগীরা তাদের পূর্ব পরিচিত ছিল। ভুক্তভোগীদের এনজিওতে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় টাকা হাতিয়ে নেন। এরপর থেকে অভিযুক্তরা মোবাইলে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরণের কথা বলেন। এমনকি চাকরির জন্য সার্টিফিকেট বানিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। শাহ আলম ও সপ্না মন্ডলের কাছে টাকা ফেরত চাইতে গেলে ভুক্তভোগীদের নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিবে বলে হুমকি দেয়।
ভুক্তভোগী সাথী মন্ডল বলেন, ‘আমি একজন দরিদ্র পরিবারের মেয়ে। আগে বয়স্ক শিক্ষা বিদ্যালয়ের সুপারভাইজার ছিলাম সেই থেকে সপ্না ও শাহ আলমের সঙ্গে পরিচয়। একপর্যায়ে তারা আমাকে তাদের একটি এনজিওতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে দশ হাজার টাকা নেয়। এখন আমাকে চাকরিও দেয় না টাকাও দেয়না।’
ভুক্তভোগী ফরিদা পারভীন বলেন, ‘আমাকে এনজিওতে চাকরী দেবে বলে আমার ভ্যান চালক স্বামীর কাছ থেকে ৩৪ হাজার টাকা নেয়। এখন আমাদের নিঃস্ব হয়ে পথে বসার উপক্রম।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহ আলমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘চাকরি দেওয়ার কথা বলে আমি কোনো টাকা নেইনি। আমি মোংলার সুপারভাইজার না রামপালের সুপারভাইজার। আমার এদের সঙ্গে কোনো সম্পর্কই নাই। আমাকে যদি কোন দপ্তর নক করে আমি অবশ্যই যাব।’
ইউএনও দীপংকর দাশ বলেন, ‘চাকরি না দিয়ে প্রতারণা করে টাকা আত্মসাত সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তদন্তপূর্বক এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
"