ফেনী প্রতিনিধি
ফেনীর সোনাগাজী
একজনের বয়স্ক ভাতার টাকা যায় আরেকজনের নম্বরে
ফেনীর সোনাগাজীতে দীর্ঘ ৩০ মাস ধরে হোসনে আরা বেগম (৬৭) নামে এক নারীর বয়স্ক ভাতা চলে যাচ্ছে অন্য আরেক নারীর মোবাইল নম্বরে। অভাব অনটনের মধ্যে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলা হোসনে আরা বেগম জানেনও না তার নাম বয়স্ক ভাতার তালিকায় আছে। সম্প্রতি তিনি সাহায্যের আবেদন নিয়ে সোনাগাজী উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
জানা গেছে, সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত শাহ আলমের স্ত্রী হোসনে আরা বেগমের স্বামী মারা যায় ২৭ বছর আগে। স্বামী মারা যাওয়ার পর অভাবের তাড়নায় সাহায্য চেয়ে চলছিলেন। তিনি ২০২০ সালে উপজেলা সমাজসেবা অফিসে একটি বয়স্ক ভাতা কার্ডের জন্য আবেদন করেন। যা ২০২১ সালে চূড়ান্ত তালিকায় অনুমোদিত হয়। ২০২১ সালের মার্চ থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুঠোফোনের নগদ অ্যাকাউন্ট হিসাবে নিয়মিত বয়স্ক ভাতার টাকা পাঠানোর হচ্ছিলো। কিন্তু হোসনে আরা জানেন না তার নামে বয়স্ক ভাতার কার্ড অনুমোদিত হয়েছে।
পরে সম্প্রতি হোসেন আরা বেগম প্রতিবেশীদের পরামর্শে আর্থিক সহায়তার জন্য সোনাগাজী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদের কাছে একটি আবেদন করেন। চেয়ারম্যান তাকে বয়স্ক ভাতার জন্য সুপারিশ করে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে পাঠান। পরে সমাজসেবা কার্যালয় থেকে জানানো হয় তার নামে ২০২১ সাল থেকে নগদ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সরকারিভাবে বয়স্কভাতা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এ বিষয়ে কিছুই জানেন না হোসনে আরা বেগম। এদিকে জানা গেছে, হোসনে আরা বেগমের নামে সমাজসেবা কার্যালয়ের বয়স্ক ভাতার কার্ডের মুঠোফোন নম্বরটি পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের আরেকজনের। উক্ত নম্বরেই গত ৩১ মাস ধরে যাচ্ছে হোসনে আরা বেগমের নামে টাকা।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তারেক আহম্মদ জানান, পাঠানো তালিকায় হয়তো ওই নারীর মোবাইল নম্বর ভুল পাঠানো হয়েছে।
সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান বলেন, এক জনের বয়স্ক ভাতা অন্যজনের ভোগ করা দুঃখজনক। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এ ঘটনায় কেউ জড়িত থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
"