লালমনিরহাট প্রতিনিধি
লালমনিরহাট
তিস্তার চর এখন ফসলের মাঠ চাষাবাদে ব্যস্ত কৃষকরা

তিস্তা নদী শুকিয়ে এর বুকে জেগে উঠেছে চর। এই চরেই আলু, পেঁয়াজ, রসুন ও মিষ্টি কুমড়া রোপণ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। এমন দৃশ্য চোখে পড়ে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের তিস্তার পাড় এলাকায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, তিস্তার চরে ব্যাপক পরিসরে চাষাবাদ হওয়ায় তিস্তা চরের নারী পুরুষদের কর্মসংস্থানও বেড়েছে। লালমনিরহাট জেলা কৃষি নির্ভর হওয়ায় চরাঞ্চলের নারী পুরুষদের বেশির ভাগ সময় কৃষি কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে। বাকী সময় তাদেরকে কাজ বিহীন অবস্থায় বসে থাকতে হয়।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, তিস্তা চরে এবার ৮৫ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের ফলন হয়েছে। যা লক্ষমাত্রার থেকে দ্বিগুন প্রায়। লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে ভুট্টার আবাদও ৩১ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয়। এছাড়াও জেলায় এবার ১২০০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। ২০০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ অর্জিত হয়েছে। তবে এখনো পেয়াজ ও রসুনের পরিসংখ্যান পায়নি কৃষি বিভাগ। লালমনিরহাটের বিভিন্ন চরাঞ্চলের প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রকার কৃষি আবাদ হয়ে থাকে। এর মধ্যে আলু, পেয়াজ, রসুন ও ভুট্টা বেশি আবাদ হয়।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার কৃষক শ্রী মনো রঞ্জন রায় ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের কৃষক সামসুক হক জানান, কিছুদিন আগে ভারত থেকে কাঁদা যুক্ত পানি আসায় তিস্তা নদীর চর গুলোতে পলি জমেছে। আর এই পলি যুক্ত জমিতে আলু, পেয়াজ, রসুনসহ যেকোনো ফসলের ফলন ভাল হয়। সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা এবার জমিতে আলু আবাদ করবেন।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. হামিদুর রহমান বলেন, এবার চরাঞ্চলের জমি গুলোতে পলি জমায় ধান ও ভুট্টার আবাদ লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
"