গাজী শাহাদত হোসেন ফিরোজী, সিরাজগঞ্জ

  ১৬ নভেম্বর, ২০২৩

সিরাজগঞ্জ

জলপাইয়ে লক্ষ্যমাত্রা ৯০০ টন প্রতি হাটে বিক্রি ৪ লাখ টাকা

* প্রতিদিন বেচাকেনা হয় প্রায় চার থেকে পাঁচ লাখ টাকার জলপাই * সদর উপজেলায় এ বছর ৩১ হেক্টর জমিতে জলপাইয়ের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯১০ টন

সিরাজগঞ্জে জলপাই কেনাবেচার হাট জমে উঠেছে। শীত মৌসুমে বাজারে দেখা মেলে মৌসুমি ফল জলপাইয়ের। আর এ সময়ই জমে উঠে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাগবাটিতে জলপাইয়ের হাট। প্রতিদিন বেচাকেনা হয় চার থেকে পাঁচ লাখ টাকার জলপাই ।

জানা যায়, এই হাটে আশপাশের কানগাতি, হরিনা বাগবাটি, ঘোড়াচড়া, খাগা, সুবর্ণগাতি, ফুলকোচা ও বাহ্মমণ গ্রাম থেকে

জলপাই নিয়ে আসেন বিক্রেতারা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার পাশাপাশি রাজধানীসহ

দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা এখান থেকে জলপাই কিনে বিক্রি করেন বিভিন্ন জেলায়।

জলপাই বিক্রেতা ঘোড়াচড়া গ্রামের সাহেব আলী বলেন, ‘বাগবাটিতে নিয়মিত হাট বসে সপ্তাহে রবিবার ও বৃহস্পতিবার। কিন্তু জলপাইয়ের হাট প্রতিদিনই বসে। হাটবারে খাজনা বাবদ টাকা দেওয়া লাগলেও অন্যান্য দিনে বেচাকেনায় কোনো খাজনা দিতে হয় না। যে কারণে পাইকাররা এখানে বাড়তি খরচ ছাড়াই বেচা-কেনা করতে পারেন।’

জলপাই চাষী আব্দুল খালেক বলেন, ‘গাছের তেমন পরিচর্যা করতে হয় না, দিতে হয় না কোনো প্রকার কীটনাশক। তাই আমরা জলপাই চাষে সহজেই লাভবান হই। এজন্যই বাড়ছে জলপাইয়ের চাষ।’

সিরাজগঞ্জের শাহানগাছা ডাকাতিয়া বাড়ি এলাকার ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম জানান, ‘গাছে মুকুল আসার পরই মালিকদের গাছ থেকে তারা গাছ ক্রয় করেন। প্রতিটি গাছে প্রায় ৮ থেকে ১৫ মণ পর্যন্ত জলপাই ধরে। পাইকারি দরে প্রতি কেজি জলপাই ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে। প্রতিদিন এই হাটে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার জলপাই বেচাকেনা হয়।’

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত জানান, আশ্বিন, কার্তিক ও অগ্রহায়ণ এই তিন মাস জলপাইয়ের মৌসুম। জেলায় ফলটির উৎপাদন বাড়াতে কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ

দেওয়া হয়ে থাকে। এ বছর শুধু সদর উপজেলাতেই ৩১ হেক্টর জমিতে জলপাইয়ের আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৯১০ টন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close