লিটন ঘোষ জয়, মাগুরা
অটোরিকশায় বদলে গেল সালাম মোল্লার জীবন
রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে কখনো দিনের আলোয় কখনো বা রাতে জীবনের শেষ বয়সে এসেও পায়ে প্যাডেল করে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন মাগুরার পারনান্দুয়ালি গ্রামের সালাম মোল¬া (৬৫)। তার সেই কষ্ট দেখে মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর তাকে উপহার দেন একটি ব্যাটারিচালিত নতুন রিকশা। ব্যাটারিচালিত রিকশা পেয়ে বদলে গেছে সালাম মোল্লার জীবন। তাকে এখন আর কষ্ট করে পায়ে প্যাডেল করা রিকশা চালাতে হয় না। আধুনিক এই রিকশায় উপার্জন বেশি হওয়ায় সংসারে এসেছে আর্থিক স্বচ্ছতা। পাশাপাশি লাঘব হয়েছে তার শারীরিক পরিশ্রম। হয়েছে দুর্দশার অবসান। নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন খুঁজে পেয়েছেন তিনি।
মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাখারুল ইসলাম শাকিল বলেন, মাগুরা শহরের যে কজন পুরাতন রিকশাা চালক আছেন তাদের মধ্যে সালাম মোল¬া অন্যতম। সেই ছাত্র জীবন থেকেই দেখে আসছি তিনি রিকশা নিয়ে শহরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ছুটে বেড়ান। তবে বতর্মানে শহরে এখন পায়ে প্যাডেল করা রিকশা নেই বললেই চলে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় বদলে গেছে সেটাও। কিন্তু অসহায় সালাম মোল¬ার কেনার সামর্থ্য ছিল না, ব্যাটারিচালিত রিকশা। এমন হাজারো মানবিক কাজের জন্য সাইফুজ্জামান শিখর ভাই মাগুরার মানুষের কাছে একটি দৃষ্টান্ত। তিনি অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন মানুষের কল্যাণে। সালাম মোল¬ার মতো দারিদ্র অসহায় মানুষের পরম বন্ধু শিখর ভাই।
রিকশা চালক সালাম মোল্লা জানান, রোদ বৃষ্টিতে ভিজে সারাদিন পায়ে প্যাডেল করে এই বয়সে রিকশা চালাতে খুব কষ্ট হতো। কিন্তু এখন তার সে কষ্ট লাঘব হয়েছে। ছলছল চোখে তিনি জানান, অনেকের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন একটি রিকশার জন্য। কেউ বাড়িয়ে দেয়নি সহযোগিতার হাত কিন্তু এমপি শিখর তাকে একটি রিকশা উপহার দিয়েছেন। এখন তিনি অনেক ভালো আছেন তার পরিবার পরিজন নিয়ে।
"