ঝগড়াঝাটি, মারামারি, মামলা মোকদ্দমা এমনকি খুনখারাপির মতো জঘন্যতম অপরাধ সংঘটিত হতে পারে জায়গা জমি-সংক্রান্ত ব্যাপারে। মালিকানা দ্বন্দ্বেই এসব ঘটনা ঘটে। জরিপের মাধ্যমে প্রকৃত মালিক নির্ধারণ করা সম্ভব বলে মনে করেন সবাই। তবে এ কাজে থাকতে হয় শতভাগ নিরপেক্ষতা। তা নাহলেই থেকে যায় সমস্যা। যেমনটা রয়ে গেছে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায়।

দিয়ারা জরিপে এইসব সমস্যার সৃষ্টি করেছেন বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা আরো বলেন, এক শ্রেণির দালাল চক্রের মাধ্যমে জরিপ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে অন্যের জমি রেকর্ড নিয়ে ওই জমি দখল করা শুরু করেছে ভূমিখেকোরা। এতে এলাকার পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। মামলার সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে। স্থানীয়ভাবে সংশোধনী বসিয়ে যার জমি তার নামে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করছেন মালিকেরা।

উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নে চরগঙ্গা মৌজার জমি মালিক খলিল দফাদার, রিপন দফাদার, মিলটন মিয়া জানান, তাদের নিজস্ব ভোগ দখলীয় জমি পার্শ্ববর্তী বাবুল গংরা রেকর্ড নিয়ে ওই জমি জোর করে দখল করেছেন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সংঘর্ষে লিপ্ত হননি তারা। তবে রেকর্ড সংশোধনী মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তারা।

উপজেলা সদর রাঙ্গাবালী ইউনিয়নে চর কানকনী মৌজার জহির মিয়া, জাহাঙ্গীর মিয়া জানান, তাদের জমি পার্শ্ববর্তী জব্বার মোল্লা, ইয়াকুব মোল্লা গংরা রেকর্ড নিয়ে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটতে এলে তারা বাধা দেয়। এতে জব্বার মোল্লা গংরা জহিরকে পিটিয়ে আহত করে। আহত জহির বাদী হয়ে গলাচিপা জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। পরে অবশ্য স্থানীয়রা সালিশ বৈঠক বসিয়ে ঘটনাটি মীমাংসা করে দেন। এ বিষয়ে আদালতে রেকর্ড সংশোধনী মামলাও করেছেন বলে জহির জানিয়েছেন। এলাকাবাসী বলছেন, একজনের জমি আরেকজনের নামে নিয়ে গেছে, এ রকম অসংখ্য ঘটনা রয়েছে রাঙ্গাবালীতে। মামলায় কেটে যায় বছরের পর বছর। স্থানীয়ভাবে সমাধান করলে উপকৃত হবে ভুক্তভোগীরা।

রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালেক মুহিত বলেন, রাঙ্গাবালীতে এ রকম অনেক ঘটনা রয়েছে। আমার এখতিয়ারে যা আছে আমি তা সংশোধন করার চেষ্টা করব। বাকিটা আদালতের এখতিয়ার।

"