টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি

  ০৭ জুন, ২০২৩

গাজীপুরের টঙ্গী

বাসা থেকে ডেকে নেওয়ার পর তুরাগে মরদেহ

গাজীপুরের টঙ্গীতে বাসা থেকে ডেকে নেওয়ার একদিন পর শরিফ হোসেন রিফাত (১৯) নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার আশুলিয়া থানার তৈয়বপুর বাজারের পূর্বপাশে রুদ্রপুর এলাকায় তুরাগ নদের বিরলীয়া অংশে ভাশমান অবস্থায় মরদেহ দেখে থানায় খবর দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে মরদেহটি উদ্ধার করে গাছা থানা-পুলিশ।

শরিফ গাজীপুর জেলার টঙ্গী পূর্ব থানার গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (গাসিক) ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের এরশাদ নগর এলাকার ২ নম্বর ব্লকে বাবা ফারুক হোসেনের সঙ্গে বসবাস করতেন। তিনি ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল দিয়ে রাইড শেয়ারিং করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

গত সোমবার বিকেল একই এলাকার বাসিন্দা কাজল ও সোহাগ নামে দুজন তাকে ভাড়ায় যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যান। তাদের বিরুদ্ধে টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানায় মাদক, ছিনতাই ও হত্যার ঘটনায় একাধিক মামলা রয়েছে জানিয়েছে এলাকাবাসী।

শরিফের স্বজনেরা জানান, গত সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে একই এলাকার কাজল ও সোহাগ রিফাতের বাসায় আসেন। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) গাছা থানার পলাসোনা এলাকায় ভাড়ায় যেতে হবে বলে রিফাতকে নিয়ে বের হন তারা। রাতে ওই দুই ব্যক্তি তাদের বাসায় ফিরে ব্যাগ ও স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বের হয়ে যান। কিন্তু রিফাত আর রাতে বাড়ি ফিরিনি। গতকাল মঙ্গলবার প্রায় দিনভর রিফাতকে খোঁজাখুঁজি করেন তার স্বজনেরা।

এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে আশুলিয়া থানার তৈয়বপুর বাজারের পূর্বপাশে রুদ্রপুর এলাকায় তুরাগ নদে ভাসমান অবস্থায় একটি মরদেহ দেখে থানায় অবগত করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে গাছা থানা-পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।

নিহত রিফাতের বাবা ফারুক হোসেন বলেন, ‘এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী কাজল ও সোহাগ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।’

জানতে চাইলে জিএমপির গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম হোসেন জানান, ‘আমরা ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করি। সারা দিন গাছা থানা-পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের ডুবরিদল ও নৌ-পুলিশের

প্রচেষ্টায় বিকেলে ভাশমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করি। নৌ-পুলিশ সার্বিক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close