কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
মাদক মামলায় গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামে হাজতির মৃত্যু নির্যাতনের অভিযোগ
কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারের এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। গত শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ওই হাজতিকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এর আগে আঘাতপ্রাপ্ত অবস্থায় বৃহস্পতিবার ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার আবু ছায়েম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মারা যাওয়া ওই হাজতির নাম একরামুল হোসেন এরশাদ (৩৫)। তিনি ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের কামাত আঙ্গারীয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তার নামে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে ভূরুঙ্গামারী থানা-পুলিশ।
তবে হাজতির পরিবারের দাবি, টাকা দাবি করে না পাওয়ায় করা নির্যাতনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
তবে এরশাদের পরিবারের দাবি, ঘটনার দিন গ্রেপ্তারের পর পুলিশ তার কাছে কিছু পায়নি। তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশ ২ লাখ টাকা দাবি করে। পরে ১ লাখে ৬৫ হাজার টাকা দেওয়াও হয়। তারপরও এরশাদকে অমানুসিক মারধর করে পুলিশ তাকে হত্যা করেছে। এর প্রমাণ, এরশাদের শরীরে বিভিন্ন স্থানে নির্যাতন চিহ্ন ও ক্ষত রয়েছে।
এরশাদের বোন ও মা জানান, গত বুধবার বাড়ির পাশ থেকে এরশাদকে গ্রেপ্তার করে ভূরুঙ্গামারী থানা-পুলিশ। এরপর অমানবিক মারধর করে। এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রথমে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে পুলিশ। পরদিন অসুস্থ অবস্থায় আদালতের মাধ্যমে এরশাদকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এরশাদের বড় বোন শিউলি বলেন, ‘পুলিশ এসে তাকে ধরে পেটাতে পেটাতে নিয়ে গেছে। আমার ভাইয়ের কাছে কোনো কিছু পায় নাই। থানায় নিয়ে গিয়ে আবার পিটিয়েছে। আমার ভাই তর্ক করেছে বলে তার জীবন নষ্ট করে দিতে চেয়েছে। পরিবারের সবাইকে মাদক মামলায় ফাঁসাতে চেয়েছে। আমার ভাইকে টর্চার করার কারণে মারা গেছেন। আমরা এর বিচার চাই।’
জানতে চাইলে ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এরশাদকে গ্রেপ্তারের সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করেছে। এতে পড়ে গিয়ে আঘাত পায়। এজন্য হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার (এসপি) আল আসাদ মহাম্মাদ মাহফুজুল ইসলাম জানান, এরশাদুল একাধিক মাদক মামলার আসামি। পুলিশি মারপিটে এরশাদুলের অভিযোগ সঠিক নয়। হিটস্টকে তার মৃত্যু হতে পাড়ে।
"