রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রাজারহাট
পানির অভাবে বীজতলা তৈরিতে বিপাকে কৃষক
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে প্রচণ্ড রোদ ও তাপদাহের কারণে বীজতলা নিয়ে বিপাকে পরেছেন কৃষক। বৃষ্টি ও পর্যাপ্ত পানির অভাবে বীজতলা তৈরি করতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকেই। কোথাও কোথাও সেচ দিয়ে হলেও জমিকে বীজতলার জন্য উপযোগী করে তোলা হচ্ছে।
সারা দেশের মতো রাজারহাটের ওপর দিয়েও কয়েক সমপ্তাহ ধরে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। সূর্যের তাপ রাস্তা-ঘাট প্রায় ফাঁকা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হৈমন্তী রাণী জানান, এই মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন লাগানোর লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই জন্য প্রায় ৬০০ হেক্টর জমিতে বীজতলা করা হবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অনেক কৃষক ইতিমধ্যেই বীজতলা তৈরির জন্য মাঠে নেমেছেন। সময় মতো বৃষ্টি আর পর্যাপ্ত পানির অভাবে বীজতলা তৈরী করতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। অনেক চেষ্টায় কোনো রকমে বীজতলা তৈরি করলেও, তা শুকিয়ে যাচ্ছে। উপজেলার কোথাও কোথাও সেচ দিয়ে হলেও উপযোগী করে তোলা হচ্ছে বীজতলা।
নিজস্ব সেচ ব্যবস্থা না থাকায় কেউ কেউ ঘুরছেন সেচ মালিকের পিছনে। বোতলার পাড় গ্রামের কৃষক ফরিদ আলী বলেন, সেচ দিয়ে কোনো রকমে ধান বীজ ছিটাইছি। এখন বৃষ্টি না হওয়ায় বীজতলা শুকিয়ে যাচ্ছে।
চতুরা গ্রামের লুতফর রহমান জানান, পানির অভাবে ধান বীজ ছিটাইতে পারছি না।
উপজেলা কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন জানান, চলতি তাপপ্রবাহ আগামী ৪-৫ দিন এমন থাকতে পারে। সেই সঙ্গে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হৈমন্তী রাণী বলেন, সময় মতো বৃষ্টি না হওয়ায় বীজতলা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন উপজেলার চাষিরা। তবে এজন্য এখনই দুচিন্তার কারণ নেই। বীজতলাতে বীজ ছিটানোর জন্য আরো কিছুদিন সময় হাতে আছে।
"