সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে এক কিশোরীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে আটকের পর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মজনু মিয়াকে উত্তমণ্ডমধ্যম দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। খবর পেয়ে আনসার সদস্যদের পাঠিয়ে পিআইওকে উদ্ধার করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। তবে এ ঘটনার চারদিন পরও ওই পিআইওর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়নি প্রশাসন। এতে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে পিআইও মজনু মিয়াকে উপজেলা সদরের খাসকাউলিয়া ইউনিয়ন থেকে আটক করা হয়। সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেওয়ার সুযোগে ইউনিয়নের এক দরিদ্র পরিবারের তরুণীর সঙ্গে আপত্তিকর সম্পর্কের সুযোগ নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নাম প্রকাশ না শর্তে স্থানীয় কয়েকজন জানান, উপজেলা সদরের খাসকাউলিয়া ইউনিয়নের একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পেতে এক দরিদ্র পরিবারকে সহায়তা করেন পিআইও মজুন মিয়া। এর পর থেকে ওই পরিবারের সঙ্গে তার সখ্য গড়ে ওঠে। প্রায়ই গভীর রাতে ওই বাড়িতে গিয়ে পরিবারের কিশোরীর সঙ্গে আড্ডা দিতেন তিনি। এ নিয়ে এলাকার জনমনে সমালোচনা সৃষ্টি হয়।

এদিকে গত মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় জনতা পিআইও মজনু মিয়াকে ওই কিশোরীর সঙ্গে ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে বেঁধে রেখে মারধর করে। পরে উপজেলা প্রশাসনে সংবাদ দেওয়া হলে আনসার সদস্য পাঠিয়ে তাকে উদ্ধার করেন ইউএনও।

জানতে চাইলে খাসকাউলিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম গণি মোল্লা বলেন, ‘পিআইও মজনু মিয়া প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে এর আগেও বেশ কয়েকজন নারীর সম্ভ্রহানি করেছেন। এবার ধরা পড়েছেন। ইউএনও তাকে ছাড়িয়ে এনেছেন। ঘটনার তিন দিন পরও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমরা অভিযুক্ত পিআইওর শাস্তি চাই।’

এ বিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে, তথ্যের জন্য লিখিতভাবে আবেদন করার পরামর্শ দিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন চৌহালীর ভারপ্রাপ্ত ইউএনও সাইফুল ইসলাম। অভিযুক্ত পিআইও মজনু মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল ফোনে কল রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বলেন, ‘বিষয়টি আমাকে কেউ অবগত করেনি।’

"