আবদুস সালাম বাবু, বগুড়া

  ২২ মে, ২০২৩

বগুড়ায় দৃষ্টিনন্দন সেতুটি দূরত্ব কমাবে ৫ কিমি

বগুড়া শহরের করতোয়া নদীর ওপর পুনর্নির্মাণ হচ্ছে ফতেহ আলী সেতু। কার্যাদেশ দেওয়ার পর ইতিমধ্যে প্রাথমিক কাজও শুরু করেছেন ঠিকাদার। আজ সোমবার (২২ মে) আনুষ্ঠানিকভাবে এর নির্মাণকাজ উদ্বোধন করবেন সদর আসনের সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপু।

ষাট বছর আগে তৈরি সেতুটি পুনর্নির্মাণ হলে জেলা সদরের সঙ্গে চারটি উপজেলার মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ আবার চালু হবে। এতে ৫ কিলোমিটার পথের দূরত্ব কমবে বলে জানা গেছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় প্রায় সাড়ে ৪ বছর ধরে সেতুতে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে।

জানা গেছে, সেতুটি পুনর্নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকা। সেতুটি হলে জেলার চারটি উপজেলার মধ্যে সরাসরি সংযোগ আবার চালু হবে। এতে কৃষিপণ্য পরিবহনেও নতুন করে আলো দেখবে। পূর্ব বগুড়ার লাখো মানুষের দুর্ভোগ নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। দৃষ্টিনন্দন নকশা অনুমোদনসহ সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।

বগুড়া জেলা সওজ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আমান উল্লাহ আমান জানান, সেতুটি নির্মাণের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকা। বর্তমান সেতুটি ২১৩ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২০ ফুট প্রস্থ। এই স্থলে আধুনিক দৃষ্টিনন্দন সেতুটির দৈর্ঘ্য ২২৬ ফুট ও প্রস্থ হবে ৪০ ফুট। মানুষের চলাচলে দুইপাশে ৮ ফুট করে ফুটপাত ও মাঝে ২৪ ফুট দিয়ে ভারীসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করবে। বাংলাদেশ সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় সেতুটির নকশা ও অর্থ বরাদ্দ প্রদান করেছে। সেতু নির্মাণে জন্য কিছু ভুমি অধিগ্রহন করা হচ্ছে সেখানে ব্যয় হবে প্রায় ২১ কোটি টাকা।

সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬২ সালে করতোয়া নদীর ওপর ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২১৩ ফুট দীর্ঘ সেতু নির্মাণ করে সওজ বিভাগ। মুক্তিযুদ্ধকালে সেতুর কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হলে স্বাধীনতার পর সেটি মেরামত করা হয়। পরে দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ভারী যানবহন চলাচলে সেুতটি দুলতে থাকত। ইতিমধ্যে সেতুর হাতল, নিচের কলামে নোনা ধরে ক্ষয়ে গেছে।

এদিকে ২০১৮ সালে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে দুপাশে খুঁটি বসিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে ৫ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ ঘুরে চলাচল করে ভারী যানবাহন। একই সমস্যায় পড়ে পণ্য পরিবহন, রোগিবাহী যানবাহনও। এদিকে সরু পথে ভারী যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়ে দুর্ভোগে পড়তে হয়।

জানা গেছে, বগুড়া জেলার সদর উপজেলা, সারিয়াকান্দি, সোনাতলা, গাবতলী উপজেলাবাসী ফতেহ আলী সেতু দিয়ে সরাসরি শহরে যাতায়াত করে। এ ছাড়া পাশর্^বর্তী জামালপুর জেলার লোকজনও এই সেতু পথ হয়ে সারিয়াকান্দি থেকে যাতায়াত করে থাকে। এ ছাড়া কৃষিপণ্য বহনসহ সব ধরনের সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রেও সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু বলেন, সেতু নির্মান হলে বগুড়া সদরসহ ৫ উপজেলার মানুষ উপকৃত হবে। যোগাযোগের ক্ষেত্রে নবদিগন্ত সৃষ্টি হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার সুষম উন্নয়নের বিশ্বাসী, এ কারণেই সারা দেশের মতো বগুড়াতেও ব্যাপক উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে।

বগুড়া সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জানান, ফতেহ আলী সেতুটি বগুড়াবাসির জন্য অত্যান্ত জনগুরুত্বপূর্ণ। এটি হবে দৃষ্টি নন্দন সেতু। সাধারণ মানুষের জন্য আনন্দের যোগানও দেবে। ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়েছে আগামী এক বছরের মধ্যে নির্মান কাজ সম্পন্ন হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close