চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

  ৩০ মার্চ, ২০২৩

হাজারো পুণ্যার্থীর রবে শেষ হলো স্নান

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের পুণ্যস্নান উৎসব শেষ হয়েছে। বুধবার ভোর থেকে এ স্নান উৎসব শুরু হয়। বাবা-মাসহ পূর্বপুরুষ ও নিজেদের পাপ মোচনের আশায় উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের রমনাঘাট থেকে রাজারভিটা পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার ব্যাপী এলাকায় স্নানে অংশ নেয় লক্ষাধিক নারী ও পুরুষ।

তবে এবারে পুণ্যস্নান বুধবার হওয়ায় পুণ্যার্থীর সংখ্যা দ্বিগুন হয়েছে বলে জানায় আয়োজকরা। স্নান উৎসবে রংপুর বিভাগের সকল জেলা ছাড়াও পাশ্ববর্তী জেলার সনাতন ধর্মেও মানুষেরা অংশ নেয়।

পুণ্যার্থীরা জানান, পরশুরাম ব্রহ্মপুত্রের ত্রিধারায় গোসল করে মাকে হত্যার পাপ মোচন করেছিলেন। সেই থেকে তাকে অনুসরন করে পাপ মোচনের জন্য বছরের নিদিষ্ট দিনে এখানে স্নান করেন তারা।

শুক্ল তিথি অনুযায়ী বুধবার ভোর ৪টা থেকে ৫টা ৩০মিনিট পর্যন্ত দেড় ঘন্টা স্নানের উত্তম সময়। আর উত্তম লগ্ন সকাল ৯টা ৯মিনিট ২৩ সেকেন্ড থেকে শুরু হয়ে রাত ৯টা ৯মিনিট ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত। কিন্তু স্নানে অংশ নিতে মঙ্গলবার বিকেল থেকে বাস, মাইক্রোসহ বিভিন্ন যানবাহনে এসে অবস্থান নেন পুণ্যার্থীরা।

দিনাজপুর থেকে আশা নবদম্পতি সঞ্চিতা রানী ও ধবল চন্দ্র বলেন, তাদের বিয়ের পর এটাই প্রথম স্নান। আমরা ভগবানের কাছে প্রার্থনা করেছি যেন আমি সহ আমাদের পরিবারের সবাই ভালো থাকে।

লালমনিরহাট থেকে শ্রী সুনিল চন্দ্র রায় বলেন, এবারে শান্তিপূর্ণ ভাবে স্নান করেছি। আর বিশেষ করে স্নান উৎসবটি বুধবারে হওয়াতে অনেক লোক এসেছে। আর আমাদের ধর্ম অনুযায়ী আজ বিশেষ একটি দিন।

চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আতিকুর রহমান বলেন, এ বছর স্নান উৎসবে লক্ষাধিক মানুষ হয়েছে। সেই সাথে আইন শৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি ভাল আছে। আশা করা যাচ্ছে কোনো ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটবে না। জেলা পুলিশের সহযোগিতায় মাঠে তিন স্তরে প্রায় ৯০জন পুলিশ সদস্য কাজ করে যাচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান জানান, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় শান্তিপূর্ণ ভাবে অষ্টমীর স্নাস সম্পুর্ন হয়েছে। পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদ, স্বেচ্ছাসেবকরা ভাল ভূমিকা রেখেছেন। তবে এই প্রথমবারের মতো স্নান এলাকায় ডুবুরি দল প্রস্তুত ছিলো।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close