মো. হেলাল উদ্দিন উজ্জল, ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ)

  ২৬ মার্চ, ২০২৩

সেচ লাইসেন্স কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ বিদ্যুৎ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

ইউপি চেয়ারম্যানের মতে তার মাধ্যমে ডেকে নিয়ে কৃষকের লাইসেন্স রেখে দেওয়া ঠিক হয়নি

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার অনন্তপুর গ্রামের কৃষক জাহিদুল ইসলামের সেচ নলকুপ লাইসেন্স কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পল্লী বিদ্যুৎ আছিম সাব জুনাল অফিসের এজিএমের বিরুদ্ধে। এতে এজিএমের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ জেনারেল ম্যানেজার বারাবরে গত সোমবার লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী কৃষক জাহিদুল ইসলাম। গত বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা পরিষদের সামনে কৃষক জাহিদুল ইসলাম সংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে এসব বলেন ওই কৃষক।

কৃষক জাহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, গত ১২ মার্চ হরিপুর গ্রামে ট্রান্সমিটার থেকে ১৪৫ ফুট দূরে কোন স্থাপনা ও সেচ বোরিং ছাড়াই স্থানীয় আব্দুল জলিল নামের এক ব্যক্তিকে নিয়মবর্হিভূত ভাবে সেচ বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গেলে পল্লী বিদ্যুৎতের লোকজনদের বাধা দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ না দিয়ে তাঁরা অফিসে চলে আসেন। গত ১৯ মার্চ রাঙ্গমাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে কৃষক জাহিদুল ইসলামকে পল্লী বিদ্যুৎতের আছিম সাব জুনাল অফিসে ডেকে নেয় সহকারী জেনারেল ম্যানাজার মশিউর রহমান। সেচ নলকুপের মুল লাইসেন্স রেখে কুরুচিপূর্ণ কথাবর্তা বলে কৃষক জাহিদুল ইসলামকে অফিস থেকে বের করে দেয়।

এ বিষয়ে রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মুক্তা বলেন, ‘আমার মাধ্যমে ডেকে নিয়ে কৃষকের সেচ লাইসেন্স রেখে দেওয়া কোন ভাবেই ঠিক হয়নি। যেখানে সেচ নলকুপের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে চাইছে, সেখানে একটি সরকারি বক্সকালভার্ট রয়েছে। ফিসারী বা কোন শিল্প স্থাপন করা হলে কালভার্টের মুখ বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতা দেখা দিবে।’

এদিকে পল্লী বিদ্যুৎ আছিম সাব জুনাল অফিসের এজিএম মশিউর রহমান বলেন, ‘অফিস থেকে বের হয়ে কিছুক্ষণ পর এসে আমার কাছে সেচ লাইসেন্স চায়। কৃষকের সেচ লাইসেন্স রেখে দিয়ে আমি কি করব? পল্লী বিদ্যুৎতের নিয়মনীতি পুরণ করে সংযোগের জন্য আবেদন করার পর গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গেলে সেই কৃষক বাধা দেয়।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close