মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

  ২৩ মার্চ, ২০২৩

পাড়েই থাকছে খননের মাটি বর্ষায় দুর্ঘটনার শঙ্কা

নেত্রকোনার মদনে নাব্যতা ফেরাতে খনন করতে গিয়ে চাওয়াই নদীকে খালে পরিণত করার অবস্থা তৈরি হয়েছে। নদী খননের মাটি পাড়ে ফেলা হচ্ছে। ফলে বর্ষায় ওই মাটি স্রোতে ভেসে আবার নদী ভরাট হয়ে যাবে।

এতে একদিকে নদী খননের সুফল পাবে না ওই এলাকা মানুষরা, অপর দিকে খননের নামে সরকারের কোটি টাকা অপচয়ের অভিযোগও উঠেছে।

নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনার পাউবোর তত্ত্বাবধানে মদন উপজেলার গোবিন্দশ্রী চাওয়াই নদীর চার কিলোমিটার খনন করা হচ্ছে। এতে ব্যয় হচ্ছে ১ কোটি ৮১ লাখ সাড়ে ৪৪ হাজার টাকা। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স বেলাল কন্সট্রাকশন এই কাজ বাস্তবায়ন করছে।

দরপত্র অনুযায়ী, নদীটি ১৮ ফুট থেকে ২৫ দশমিক ১৯ ফুট প্রস্থ ও অবস্থা ভেদে গভীরতা ১০ থেকে ১২ ফুট হবে। এ ছাড়া খননের জায়গা থেকে ৩৮ থেকে ৪০ ফুট দূরত্বে মাটি ফেলার কথা রয়েছে। কিন্তু খননের মাটি নদীর পাড়েই রাখা হচ্ছে।

গত মঙ্গলবার চাওয়াই নদী খনন প্রকল্প এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নদী খননের তিন ভাগের এক ভাগ কাজ হয়েছে। তবে খননের মাটি ফেলা হয়েছে দুই পাড়েই। এখনই পাড়ে রাখা মাটি ধসে পড়ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে গোবিন্দশ্রী গ্রামের কয়েকজন বলেন, জেলার খালিয়াজুরি ও মোহনগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জের শাল্লা ও দিরাই উপজেলাসহ বেশ কিছু এলাকা থেকে নৌ-পথে মদনে আসার একমাত্র উপায় চাওয়াই নদী। খনন করে পাড়ে মাটি ফেলার কারণে নদীটি আরও সরু হয়ে যাচ্ছে। ফলে বর্ষায় নদীতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে গেছে। এদিকে চাওয়াই নদী খনন করে খাল করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা পাউবোর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, যেন দুর্ঘটনার আগেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

ঠিকাদারের প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা বরাদ্দ অনুযায়ী কাজ করছি। নদীর পাড়ে ভালোভাবে মাটি রাখছি, যাতে ধসে না পড়ে। কাজ শেষের সময় ত্রুটিগুলো সংশোধন করা হবে।’

নদীর পাড়ে মাটি রাখার ব্যাপারে প্রকল্প তত্ত্বাবধানকারী নেত্রকোনা পাউবোর উপ-প্রকৌশলী ওবায়দুল হক বলেন, খননের মাটি নদীর পাড়ে রাখার নিয়ম নেই। খনন কাজ চলছে। নির্দিষ্ট স্থানে খননের মাটি সরিয়ে নেওয়ার হবে।

জানতে চাইলে নেত্রকোনা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সারোয়ার জাহান মোবাইল ফোনে জানান, ২০১৮ সালে যারা দায়িত্বে ছিলেন, তারা প্রকল্প করেছেন। তবে চাওয়াই খাল খননে এলাকাবাসী সুফল পাবে।

পাড়ে খননের মাটি রাখার বিষয়ে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা হয়েছে, খুব শীঘ্রই খননের মাটি বিক্রি করে সরিয়ে ফেলা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close