কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধি

  ২১ মার্চ, ২০২৩

নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে স্কুলভবন নির্মাণের অভিযোগ

* তথ্য জানতে চাইলে সাংবাদিকদের হুমকি * নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার * সাংবাদিকদের হুমকি

মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার নবগ্রামে চলবল উচ্চবিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে ঠিকাদার সৈয়দ তুহিন হাসানের বিরুদ্ধে। সরেজমিনে গিয়ে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঢালাইয়ের কাজ করতে দেখা গেছে মিস্ত্রিদের। উপস্থিত ছিলেন না ইঞ্জিনিয়ার এবং ঠিকাদারের কোনো লোকজন।

মুঠোফোনে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক সৈয়দ তুহিন হাসানের কাছে কাজের বিষয় তথ্য জানতে চাইলে সাংবাদিকদের হুমকি দেন তিনি।

স্কুল প্রধান, ম্যানেজিং কমিটি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর মাদারীপুর জোন থেকে ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের চলবল উচ্চবিদ্যালয়ের চারতলা ভিত বিশিষ্ট একতলা একাডেমিক ভবনের ওপর দুইতলা ভবন পাস হয়। দুই বছর আগে মের্সাস ফজল এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পায় এবং প্রো. সৈয়দ তুহিন হাসান এক বছর আগে স্কুল ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। স্থানীয় লোকজন, স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ও স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জানায়, ঠিকাদারের বাড়ি স্কুলের নিকটে হওয়ায় কাজের শুরু থেকেই অতি নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ভবন নির্মাণ করছেন। সদ্য বিদায় নেওয়া চলবল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র সরকার বলেন, কাজের শিডিউল অনুযায়ী কাজ হচ্ছে না। আমি ইঞ্জিনিয়ারকে বলেছি, সে বলে যখন কাজের টেন্ডার হয়েছে তখন বললে ভালো হতো, এখন বাজার ভালো না, তাই কনসিডার করা হচ্ছে।

বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ধীরেন্দ্রনাথ বাড়ৈ বলেন, আমি ভালো কাজ করার জন্য এসও সাহেবকে বলেছি, সবকিছু বিবেচনায় কাজের গুনগত মান ভাল না। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সহদেব কুমার বাড়ৈ বলেন, আমি যতবারই কাজ দেখতে গিয়েছি, একবারও সেখানে ইঞ্জিনিয়ার বা ঠিকাদারকে পাইনি। নির্মাণের ইট-খোয়া দেখলাম, কোনটাই ভাল না।

এ বিষয় জানতে চাইলে মের্সাস ফজল এন্টারপ্রাইজের মালিক(ঠিকাদার) সৈয়দ তুহিন হাসান বলেন, কাজের মান খারাব হলে ইঞ্জিনিয়রকে বলবে, এসওকে বলবে, আপনাকে কে বলেছে। আমি কি চৌকিদার যে কাজের কাছে থাকবো। সাংবাদিকতা ছেড়ে চৌকিদারী করেন। আপনাদের মত অনেক সাংবাদিক দেখেছি। আমার রড খারাপ, ইট খারাপ,খোয়া খারাপ লিখে আপনি নিউজ করে দেন। আমাকে চেনেন আমি সৈয়দ তুহিন হাসান, আমি ৬৪ জেলায় কাজ করি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close