সিরাজগঞ্জ ও বেলকুচি প্রতিনিধি

  ১৮ মার্চ, ২০২৩

সিরাজগঞ্জে বেলকুচি

ব্যানারে এমপির নাম না থাকায় সংঘর্ষ, আহত ৫

* বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দলীয় কার্যালয়ে সংঘর্ষ * স্থানীয় এমপি ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সমর্থক আহত

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে অনুষ্ঠানের ব্যানারে না থাকা নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহত ব্যক্তিদের বেলকুচি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

গতকাল শুক্রবার উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যলয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই ঘটনা ঘটে। এতে দলীয় ব্যানারে এমপির নাম না থাকাকে কেন্দ্র করে ব্যানার ছিরে ফেলা ও সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।

অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মন্ডল এবং দলের উপজেলা সাধারণ সম্পাদক বেগম আশানুর বিশ্বাসের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।

বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে দলীয় কার্যালয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য, দলের সাধারণ সম্পাদক ও দলীয় নেতা-কর্মীরা পতাকা উত্তোলন করেন। পরে দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলে দেওয়ার সময় টানানো ব্যানারে এমপির নাম না থাকা কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় সংঘর্ষ হয়। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনি দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুই পক্ষকেই দলীয় কার্যালয় থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামীলগের সাধারণ সম্পাদক বেগম আশানুর বিশ্বাস বলেন, ‘পতাকা উত্তোলন শেষে আমরা দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের আগেই কার্যালয়ে টানানো ব্যানারে এমপির নাম না থাকায় তার লোকজন আমার উপর চড়াও হয়। আমি বলি, এটা দলের ব্যানার এখানে শুধু বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রীর ছবি আর নাম থাকবে। নিচে আয়োজনে উপজেলা আওয়ামীলীগ লেখা রয়েছে। কিন্তু তারা সেটা মানতে নারাজ। উত্তেজিত হয়ে ব্যানার ছিরে ফেলে এবং আমার সম৬র্থকদের উপর হামলা করেন।

আশানুর বিশ্বাস আরও বলেন, এমপির উপস্থিতিতে এ ধরনের ঘটনা দলীয় ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। বিষয়টি তিনি দলের উর্দ্ধতন নেতাদের জানাবেন।

সংস সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী সেলিম সরকার বলেন, ‘সকালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের পর দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে গিয়ে দেখা যায় ব্যানারে এমপির নাম নেই। এ নিয়ে জানতে চাইলে উভয় পক্ষের সমর্থকদের উত্তেজোনা ও হাতাহাতি শুরু হয়। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কে এম হোসেন আলী হাসান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে বেলকুচিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে যে ঘটনা ঘটেছে, তা অত্যান্ত দুঃখজনক। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close