মাহমুদুল হাসান, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী)

  ১৭ মার্চ, ২০২৩

রাঙ্গাবালী

গরিবের আস্থা কমিউনিটি ক্লিনিকে বাড়ছে রোগীর ভিড়

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় সাধারণ রোগীরা চিকিৎসাসেবা নিতে ভিড় জমাচ্ছেন উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকে। তাই চিকিৎসাসেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে রোগীবান্ধব হয়ে, আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক হয়ে উঠেছে এ উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিক। গরিবের হাসপাতালখ্যাত আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক হয়ে উঠেছে উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাঙ্গাবালী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ১২টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। দুই লক্ষাধিক মানুষের (জনগণের) প্রতিদিন চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডররা (সিএইচসিপি) প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন তারা। বিশেষ করে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের উপস্থিত সংখ্যা বেশি দেখা যায়। দিন দিন রোগীবান্ধব হয়ে উঠেছে উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো, যার কারণে প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে।

এদিকে উপজেলায় ১২টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। রাঙ্গাবালীতে হাসপাতাল নেই। তাই জরুরি সেবার জন্য যেতে হয় ক্লিনিকে। তাই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে দিন দিন বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। ‘শেখ হাসিনার অবদান, কমিউনিটি ক্লিনিক বাঁচায় প্রাণ’ এই স্লোগান বাস্তবায়নই তাদের মূল লক্ষ্য। কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডরদের (সিএইচসিপি) মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে ক্লিনিকগুলো।

স্থানীয়সচেতন ব্যক্তিরা জানান, এই উপজেলায় কোনো হাসপাতাল না থাকায় সাধারণ মানুষ কমিউনিটি ক্লিনিকে বেশি আসেন। তবে ক্লিনিকে নরমাল ডেলিভারির ব্যবস্থা না থাকায় বাড়িতেই ডেলিভারি হয়ে থাকে। এটা খুব ঝুঁকিপূর্ণ। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে, অনেক মা ও নবজাতক মারা যান। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে নরমাল ডেলিভারির ব্যবস্থা থাকলে মাতৃমৃত্যুর হার অনেকটা কমে আসত।

উপজেলার মৌডুবী ইউনিয়নের মুখরবান্দা কমিউনিটি ক্লিনিকে গেলে প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় ক্লিনিকে আসা ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু আরিয়ানের মা বিলকিস বেগমের সাঙ্গে। জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বাচ্চা অসুস্থ, তাই এখানে নিয়ে আসছি। আমরা যেকোনো সমস্যায় ক্লিনিকে আসি, এখানে আমরা ভালো সেবা পাই।

উপজেলার কয়েকটি ক্লিনিকে দেখা গেছে, বেশির ভাগ মৌসুমি জ্বর, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা, পেটব্যথা, ডায়রিয়া, আমাশয়, মাথাব্যথা, বমি- এ ধরনের সমস্যা নিয়ে আসা রোগীদের সেবা দিচ্ছেন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডররা (সিএইসসিপি)।

জানতে চাইলে মৌডুবী মুখরবান্দা কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডর (সিএইচসিপি) মো. নাঈমুর রহমান বলেন, আমরা প্রধান তো স্বাস্থ্যশিক্ষা ও প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থাকি। প্রতিদিন মুখরবান্দা কমিউনিটি ক্লিনিকে ৪০ থেকে ৬০ জন রোগী আসেন। আমরা এখানে সাধারণ জ্বর, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা, ডায়রিয়া, আমাশয়সহ মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশুস্বাস্থ্য, কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্যশিক্ষা দিয়ে থাকি।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কাজী আবদুল মমিন জানান, রাঙ্গাবালী আলাদা একটি উপজেলা, এটির স্বাস্থ্য বিভাগ এখনো গলাচিপায় রয়েছে। এ মুহূতে রাঙ্গাবালীতে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো রয়েছে। এই ক্লিনিক থেকে রোগীরা সধারণ চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। যাদের পরীক্ষার দরকার হয় তারা গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। আমাদের ১২টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে ১০টিতে সিএইসসিপি রয়েছে। দুটিতে নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close