জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী)

  ১৭ মার্চ, ২০২৩

পণ্যের দাম বাড়ার শঙ্কায় ক্রেতা বাজারে রমজানের কেনাকাটা

নীলফামারীর সৈয়দপুরে রমজান মাসের জন্য ১০০ টাকা কেজি দরে ছোলা কিনছিলেন আমিরুল ইসলাম আরমান। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সকালে পাঁচ কেজি ছোলা কেনার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে এই ছোলা কিনেছি ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে। রোজা আসার এখনো ৪-৫ দিন বাকি। এরই মধ্যে দাম বেড়ে ১০০ টাকা কেজি হয়েছে। রোজা শুরু হলে আরো দাম বাড়তে পারে, তাই আগে থেকে বেশি করে কিনলাম।

সৈয়দপুর শহরের বাজারে দেখা গেছে, রমজান আসার ৪-৫ দিন বাকি থাকলেও এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে সাহরি ও ইফতারসামগ্রী কেনাকাটা। শুধু আমিরুল ইসলামই নন, তার মতো অনেকেই রমজান মাসের সওদাপাতি কিনছেন। আর যাদের সামর্থ্য তেমন একটা নেই তারাও সাধ্যমতো খেজুর, ছোলা, বেসন ও চিনি কিনছেন।

শহরের রেলবাজারে গ্রাম থেকে আসা সাদিকুল ইসলাম বলেন, কামাই রোজগার একেবারেই কমে গেছে। রাজমিস্ত্রির কাজ করে খাই। মা, বউ ও বাচ্চা নিয়ে রমজান মাসে যে কী করে চলবে, এ নিয়ে চিন্তায় আছি। গত দুদিন আগে সব জিনিসপত্রের দাম যে বেড়ে যাবে ভাবিনি। এজন্য আজই সাধ্যমতো কিনে নেব।

বাজারে আসা অনেক ক্রেতাসাধারণ জানান, সবখানেই ভর করছে রমজান মাস উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির আতঙ্ক। এমনিতেই চলছে প্রতিটি দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি। রমজান মাসে সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে।

ক্রেতারা জানান, রমজান মাসের আগেই বাজারে উঠেছে প্রচুর তরমুজ। এক কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে। গত বছর এই তরমুজ বিক্রি হয়েছে ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি দরে। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকা আর দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা কেজি দরে। ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা হালি, কাবলি ছোলা ৩৫০, বেশন ১২০, মুড়ি ১০০ ও কলা ৪০-৬০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। রমজান মাসে প্রতিটি দ্রব্যের দাম আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা সবার।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, জাতভেদে খেজুরের দাম বেড়েছে ৬০ থেকে ৩০০ টাকা। এক কেজি আজোয়া খেজুর ৮০০, মিডজুল ৭০০, দাবাস ২৫০, মরিয়ম ৬০০ ও কলমি খেজুর ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছর আজোয়া খেজুর বিক্রি হয়েছে ৫০০ টাকা আর কলমি খেজুর বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকা কেজি দরে। তারা বলেন, আসলে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে গত বছরের তুলনায় এবার খেজুরের দাম কিছুটা বেড়েছে।

এ ছাড়া গত বছর প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে, সেখানে এ বছর প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ টাকা, আর খোলা তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে।

উপজেলার বণিক সমিতির সভাপতি

ইদ্রিস আলী বলেন, আশা করছি রমজানে পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে না। এ বিষয়ে তদারকি করা হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close