কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

  ১৬ মার্চ, ২০২৩

বাড়ি নির্মাণকে কেন্দ্র করে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

কুড়িগ্রাম পৌর শহরের নাজিরা মুনশিপাড়ায় বাড়ি নির্মাণ কেন্দ্র করে সেলিম মিয়া (৪৫) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম।

হত্যার শিকার সেলিম মিয়া পৌরসভার ব্যাপারীপাড়ার মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সেলিম মিয়ার বাড়ির মালিক আবদুল আহাদ। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করছেন সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম শহরের নাজিরা-মুনশিপাড়ায় কেনা ৭ শতাংশ জমিতে ফ্ল্যাট নির্মাণ করেছিলেন সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের গারুহারা গ্রামের বাসিন্দা অবসরপাপ্ত চাকরিজীবী আবদুল আহাদ। তবে ভবন নির্মাণ করতে গেলে তার সঙ্গে সীমানা নিয়ে প্রতিবেশী কয়ছার, কুদরত, লিয়াকত ও রেজাউলের বিরোধ শুরু হয়। প্রতিবেশীরা সবাই আপন ভাই।

পরে কিছুদিন বন্ধ থাকার পর গত মঙ্গলবার সকালে নির্মাণ শুরু করা হলে কাজে বাধা দেন প্রতিবেশীরা। এ সময় আবদুল আহাদের বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক সেলিম মিয়া কথা বলতে গেলে কয়ছার, কুদরত, লিয়াকত, রেজাউল, তাদের স্ত্রী ও সন্তানরা তার ওপর আক্রমণ করেন। পরে সেলিমকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

এর আগে খবর পেয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ঘটনাস্থল থেকে লিয়াকত, কুদরতের স্ত্রী নাজমা বেগম ও কয়ছারের স্ত্রী মল্লিকাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

এদিকে হঠাৎ স্বামীর মৃত্যুতে মাতম করছেন সেলিমের স্ত্রী জেসমিন। তাদের ২ ছেলে ও ১ মেয়ে আছে। স্বামী হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন জেসমিন।

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) শাহীনুর রহমান সরদার জানান, মৃত অবস্থায় সেলিম নামে যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল।

পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এর সঙ্গে আরো কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close