তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

  ১৪ মার্চ, ২০২৩

বরগুনার তালতলী

ইটভাটায় পুড়ছে বনের কাঠ ধুলা-ধোঁয়ায় অতিষ্ঠ স্থানীয়রা

বরগুনা তালতলীতে ইটভাটায় আইন অমান্য করে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। এ ছাড়া ইটভাটার ধোঁয়া ও ধুলায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। এমনকি ভাটার প্রভাবে আশপাশের জমি অনাবাদী হয়ে পড়ছে। দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা চললেও প্রশাসনের যথাযথ নজরদারি নেই বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় দুটি ইটভাটা রয়েছে। ভাটাগুলো পরিবেশ অধিদপ্তরের অনাপত্তি সনদ ছাড়াই চালু রয়েছে। এসব ভাটায় এখানে কয়লার পরিবর্তে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। গত বছর ওই ভাটা দুটিতে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করেছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার কড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর ঝাড়াখালি গ্রামে এইচবিএ ব্রিকস ও দক্ষিণ ঝাড়াখালি গ্রামে এসটিএম ব্রিকস। ভাটার মধ্যে থাকা করাতকলের চারপাশে কাঠের স্তূপ। ভাটা দুটিতে কাজ করেন প্রায় শতাধিক শ্রমিক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ভাটার কালো ধোঁয়া ও ধুলাবালুতে বাড়িঘরে থাকা যায় না। জমির ফসল জমিতেই নষ্ট হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ভাটার চারপাশের জমি এক সময় অনাবাদি হয়ে পড়বে। ভাটার মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকার লোকজন প্রতিবাদ করার সাহস পান না।

যোগাযোগ করা হলে এইচবিএ ব্রিকসের মালিক হোসাইন আলী এবং এসটিএম ব্রিকসের ম্যানেজার পরিচয়ে একজন জানান, কয়লার দাম বাড়ায় ও কয়লা না পাওয়ার কারণে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। তবে ভাটার ধোঁয়ায় ফল ও ফসলের ক্ষতির বিষয়টি তাদের জানা নেই। ইটভাটার ভেতর করাতকল বসিয়ে কাঠ চেরাই করার বিষয়ে জানতে বন বিভাগের তালতলী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামানকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি সাড়া দেননি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, ‘কাঠ পোড়ানোর বিষয়টি আমার জানা নেই। তদন্ত সাপেক্ষে ভাটায় অভিযান চালিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close