হাফিজুর রহমান, ধনবাড়ী (টাঙ্গাইল)

  ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

মধুপুরে শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন

টাঙ্গাইলের লালমাটির মধুপুর গড়ে এ বছর শীতকালীন সবজির ভালো ফলন হয়েছে। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা তাদের উৎপাদিত সবজির ফলন ও দাম ভালো পেয়ে খুশি। তাদের মুখে ফুটেছে হাসি। কৃষি বিভাগের পরামর্শ সহযোগীতায় এ বছর মধুপুরে সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে। শীতকালীন সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ১৭৫ হেক্টর। উৎপাদন হয়েছে এক হাজার ৩২৮ হেক্টর। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫৩ হেক্টর বেশি।

মধুপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর মধুপুরে লাউ ২২৯ হেক্টর, শিম ১২৪, মুলা ৮৮, ফুলকপি ৭৫, বাঁধাকপি ৫৯, লালশাক ৭৫, বেগুন ২২০, মিষ্টিকুমড়া ৭২, শসা ৭০, করলা ৭৬, গাজর ৩ দশমিক ৫, স্কোয়াশ ১০, ডাটা ৭৭, পালং শাক ৪৫, খিরা ১৮, বাটিশাক ১০, টমেটো ৩৯, পাটশাক ৩৮ হেক্টরসহ মোট এক হাজার ৩২৮ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে।

সরেজমিনে মধুপুরের গোলাবাড়ী, কুড়াগাছা, পিরোজপুর, ভবানটেকী, চাপাইদ ও রাধানগর গ্রামে গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের সবজি চাষ সাফল্যের কাহিনি। এসব গ্রামে এক যুগ আগে উঁচু জমিতে পাট, ধান, কচু, আদা চাষ করা হতো। এসব ফসল চাষ করে খরচ তুলে আনাই কঠিন ছিল। পরে স্থানীয়ভাবে কুড়াগাছা গ্রামের কয়েকজন কৃষক কপি, শিম, লাউ চাষ শুরু করে। ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় পরের বছর আরও কয়েক কৃষক তাদের দেখাদেখি সবজি চাষে এগিয়ে আসেন। এভাবে গত এক যুগে কুড়াগাছা গ্রাম সবজি চাষে এগিয়ে আছে।

এ গ্রামের কৃষক আলমগীর হোসেন জানান, এ বছর তিনি সাত একর জমিতে সবজি চাষ করেছেন। এক বিঘা ডাটা, পটোল ৫০ শতাংশ, বরবটি ৫০ শতাংশ, বেগুন এক একর, ফুলকপি চার একর, লাউ এক দশমিক ৫০ একর। তিনি লাউ বিক্রি করে তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা, কপি ছয় লাখ, বেগুন থেকে পেয়েছেন দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা। সবজি চাষ করে মোটামুটি ভালো লাভ পেয়েছেন।

একই গ্রামের হাফিজুল ইসলাম এক একর জমিতে কপি ও দেড় একর জমিতে চিচিঙ্গা চাষ করে ভালো লাভ পেয়েছেন। কৃষক শামীম পাঁচ বিঘা জমির মধ্যে দুই বিঘা জমিতে শিম ও তিন বিঘা জমিতে কপি চাষ করে ভালো লাভ পাচ্ছেন। শুধু আলমগীর, হাফিজুর ও শামীমই নন তাদের মতো এ গ্রামের অনেক ক্ষুদ্র ও প্রন্তিক কৃষক সবজি চাষ করে নিজেরা খাওয়ার পাশাপাশি বিক্রি করে ভালো লাভ পেয়েছেন।

মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন রাসেল জানান, মধুপুরের মাটি সবজিসহ কৃষি ফসল উৎপাদনের জন্য বিশেষ উপযোগী। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কমসহ সব মিলিয়ে কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগীতায় এলাকার কৃষকরা কৃষি উৎপাদনে এগিয়ে যাচ্ছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close