বাংলাদেশে কোনো মানুষ যেন ভূমিহীন ও গৃহহীন না থাকে, এ লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে বর্তমান সরকার। এরই ধারাবাহিকাতায় সিরাজগঞ্জে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য আধাপাকা ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার। কয়েক ধাপে এরই মধ্যে জেলায় ২১১৫টি ঘর বিতরণ করা

হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে আরও ৬০২টি ঘর পেতে যাচ্ছে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। এ নিয়ে জেলায় ঘরের সংখ্যা দাঁড়ালো দুই হাজার ৭১৭টি।

‘আশ্রয়ণের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার’ এ স্লোগানে সাড়া পড়েছে সারা দেশে। এ স্লোগানকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশের ন্যায় সিরাজগঞ্জেও গৃহহীন মানুষের মাঝে ঘর বিতরণ করে যাচ্ছেন।

সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার নয়টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ প্রকল্পের দুই হাজার ৭১৭টি ঘর মধ্যে দুই হাজার ১১৫টি ঘর ইতিমধ্যে ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এতে গৃহহীন পরিবারগুলোর মুখে হাসি ফুটেছে। জেলায় কয়েক পর্যায়ে ঘর প্রদান করা হয়, প্রথম পর্যায়ে ৭৯৬টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪৮১টি,

তৃতীয় পর্যায়ে ৮৩৮টি হয়েছে এবং চুতর্থ পর্যায়ে ৬০২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন বসবাস করতে পারবে।

আরও জানা যায়, জেলার নয়টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ প্রকল্পের দুই হাজার ৭১৭টি ঘরে প্রায় ৩৫৩৯ জন পরিবার নিয়ে বসবাস করতে পারবে। ইতিমধ্যেই কিছু পরিবার নিয়ে বাসবাস শুরু করেছে। এতে গৃহহীন পরিবারগুলোর মুখে হাসি ফুটেছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়দের দখলে থাকা সরকারি খাস জমি উদ্ধার করে সেখানে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে এসব ঘর তৈরি করা হচ্ছে। নির্মাণাধীন ঘরগুলো সার্বিকভাবে স্ব-স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, এসিল্যান্ড, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাগণ কাজের তদারকি ও অগ্রগতি মনিটরিং করছেন।

এ প্রকল্পের মধ্যে সিরাজগঞ্জের সদরে ৬১৫টি, কাজিপুরে ২৩২টি, উল¬াপাড়ায় ৩০৪টি, রায়গঞ্জে ৪৯৫টি, বেলকুচিতে ১৩০টি, শাহজাদপুরে ২৮১টি, কামারখন্দে ২৮৪টি, তাড়াশে ৩২১টি, চৌহালী উপজেলায় ৫৫টি ঘর ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যাতে থাকছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত দুই কক্ষ বিশিষ্ট ঘর।

জেলা রাজস্ব কর্মকর্তা মোবারক হোসেন জানান, নির্মাণাধীন ঘরগুলো সার্বিকভাবে স্ব-স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, এসিল্যান্ড, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাগণ কাজের তদারকি ও অগ্রগতি মনিটরিং করছেন, দ্রুত ঘরগুলো বরাদ্দ দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মাদ মাহবুবুর রহমান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার প্রকল্পের আরও ৬০২ ঘর তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। সে অনুযায়ী এসব ঘর দ্রুত ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের মাঝে বরাদ্দ দেওয়া হবে। আমরা তিনটি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন উপজেলা ঘোষণা করব।

"