আবদুর রহমান রাসেল, রংপুর

  ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩

প্রশাসনের ভুলে অনাবাদি ৩০০ একর জমি

কুড়িগ্রামের রাজারহাটের চাকিরপশার বিলের আশপাশের ৩০০ একর জমিতে কৃষক ফসল উৎপাদন করতেন। কিন্তু দুই বছর ধরে সেখানে কোনো ফসল উৎপাদন হচ্ছে না। অভিযোগ উঠেছে, কৃষকদের ব্যক্তিগত জমি অধিগ্রহণ না করেই একটি মহলের মদদে অপরিকল্পিতভাবে নালা নির্মাণ করায় এখন সারা বছরই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নালা নির্মাণের বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনও স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় কৃষক মামলা দায়ের করলেও পুনরায় কাজ চলমান রাখলেও পরে বিজ্ঞ আদালত নিষেধজ্ঞা জারি করে। তবে উপজেলা প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই নালা খনন এবং ওই এলাকাকে নদ বানানোর ঘটনা নিয়ে সচেতন মহলে তোলপাড়া শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) কুড়িগ্রাম জেলা ২০১৮ সালে রংপুর ভূ-উপরিস্থ পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন ও সেচ দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পে প্রায় ৯০ কিলোমিটার খাল বিল খননের বরাদ্দ পায়। প্রথমে প্রকল্পটি উলিপুর এলাকার বুড়ি তিস্তাসহ আশপাশ খাল-বিল খনন প্রক্রিয়া শুরু হলেও সেখানকার স্থানীয় জনগণ বাধা দেয়। তারা সে সময় ওই পুরো বরাদ্দের কাজটি শেষ করতে পারিনি। পরে ওই বরাদ্দের কাজটি রাজারহাট উপজেলার চাকরিপাশার বিলে নিয়ে আসে।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম বিএডিসির উপ-সহকারী প্রকৌশলী দীপক চন্দ্র রায় জানান, করোনাকালীন সময়ে খনন কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। সে সময়ে আমরা উপজেলা প্রশাসনকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম কিন্তু তারা আসেনিন। ব্যক্তি মালিকানার জমিতে কীভাবে খনন করলেন এ বিষয়ে তিনি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close