গোলাম রসুল, চৌদ্দগ্রামে (কুমিল্লা)

  ২৯ জানুয়ারি, ২০২৩

বাড়ির গ্যাস গাড়িতে

চৌদ্দগ্রামে বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজি গ্যাস রান্নার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী দেশের নামিদামি এলপিজি গ্যাসের সিলিন্ডারগুলোতে লোড করে বাজারে বিক্রি করছে। এতে করে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপজেলার ৪৪ কিলোমিটার এলাকায় ১৪টি এলপিজি গ্যাসের স্টেশন রয়েছে। মহাসড়কের বাইরে উপজেলার চিওড়ার নেতড়াতে আরও একটি এলপিজি গ্যাসের স্টেশন রয়েছে। এ স্টেশনগুলোর মধ্যে অধিকাংশই দেশের নামিদামি কোম্পানির ১২ এবং ৩৫ কেজি ওজনের রান্নার কাজে ব্যবহৃত এলপিজি সিলিন্ডারগুলোতে গাড়ির কাজে ব্যবহৃত এলপিজি গ্যাস বিশেষ নজেল ব্যবহার ও রিফিল করে তা বাজারজাত করছে। এছাড়া এলপিজি স্টেশনের মালিকরা তাদের রিফিলি করা গ্যাস সিলিন্ডারগুলো বাজার ও অন্যান্য কোম্পানির চেয়ে ৩০০-৪০০ টাকা কমে বিক্রি করছে। এতে করে নামিদামী কোম্পানিগুলো বাজার মূল্য নিয়ে গ্রাহক পর্যায়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বের সৃষ্টি হচ্ছে।

বিস্ফোরক অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রান্নার কাজে এলপিজি গ্যাসের ৭০ ভাগ কোপেন, ৩০ ভাগ ডিউটেন সংমিশ্রন করা হয়। আর গাড়িতে ৬০ ভাগ কোপেন ও ৪০ ভাগ ডিউটেন সংমিশ্রন করে ব্যবহার করতে হয়। তবে এ ক্ষেত্রে এলপিজি স্টেশনগুলো কোপেন এবং ডিউটেন সংমিশ্রনে গড়মিল রেখেই গ্যাস সিলিন্ডারগুলোতে রিফিল করে দিচ্ছে এবং ব্যবহার হচ্ছে বিভিন্ন বাসাবাড়ির রান্নার কাজে। এতে করে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ এ গ্যাসগুলো তেল জাতীয়। রিফিল সংমিশ্রন সঠিকভাবে না হওয়ার কারণে গ্যাসগুলো সিলিন্ডারের নিচে বসে থাকে। নাড়াচাড়া পড়লে বিস্ফোরণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

যমুনা এলপিজি গ্যাসের সিনিয়র মার্কেটিং অফিসার আলাউদ্দিন প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, চৌদ্দগ্রামের নেতড়াতে এসবি এলপিজি গ্যাস স্টেশনে যমুনাসহ নামিদামী এলপিজি গ্যাস কোম্পানিগুলোর সিলিন্ডার রিফিল করে বিক্রি হচ্ছে। রিফিল করার সময় আমরা কয়েকবার সরেজমিন গিয়ে তাদের হাতেনাতে ধরলেও তারা আগামীতে এ ধরনের কাজ করবে না বলে অঙ্গীকার করে। কিন্তু আমরা চলে আসার পর তারা আবারও যমুনাসহ অন্যান্য কোম্পাানগুলো গ্যাস সিলিন্ডার রিফিল করে রান্নার কাজের কম দামে বিক্রি করছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনী। এ ধরনের সিলিন্ডার রিফিল করার সময় এবং রান্নার কাজে ব্যবহারের সময় বিস্ফোরণ ঘটে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

বেক্সিমকো গ্রুপের এলপিজি গ্যাসের কুমিল্লা অঞ্চলের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার আবু আসিফ গোলাম ছিদ্দিক বলেন, চৌদ্দগ্রামের নেতড়ায় এসবি এলপিজি নামে একটি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কোম্পানির গ্যাস সিলিন্ডারগুলো অবৈধভাবে রিফিল করে কম দামে বাজারে বিক্রি করছে। বিষয়টি আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানিয়েছি। এ ধরনের অনৈতিক কাজের সময় দুর্ঘটনা ঘটলে এ দায় বর্তাবে বিস্ফোরিত হওয়া সিলিন্ডার কোম্পানিগুলোর ওপর।

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন বলেন, এসবি এলপিজি গ্যাসের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সত্যতা পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close