গাজী শাহাদত হোসেন ফিরোজী, সিরাজগঞ্জ

  ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩

রায়গঞ্জে ফের বিদ্যুতের মিটার চুরি

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে আবারও পল্লী বিদ্যুতের শিল্প মিটার ও ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে। আর মিটার ফেরতের আশ্বাসে চোরেরা বিকাশে টাকা চাওয়ায় হতাশায় পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। অনেক কৃষক বিকাশে লেনদেন করে মিটার ফেরতও পেয়েছেন এর আগে। এই চোরাই চক্র থেকে কেউ রেহাই পাচ্ছেন না। অপরদিকে ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় রয়েছে ইউপি চেয়ারম্যানসহ সাধারণ মানুষেরা। ভুক্তভোগী কৃষকরা অভিযোগ তুলে বলেন, দিন দিন বেড়েই চলেছে এই মিটার চুরি কিন্তু পল্লী বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট ডিজিএম ও তার কর্মকর্তাদের নেই কোনো নজরদারি।

জানা গেছে, ছয় মাস ধরে উপজেলার পূর্ব লক্ষিকোলা, ধামইনগর, শালিয়াগাড়ী, নিমগাছী, চান্দাইকোনাসহ অন্য এলাকায় গণহারে প্রায় ৩৮টি বিদ্যুতের মিটার ও ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। চুরি বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে এলাকার তাঁতকল মালিকরাসহ উপজেলার শিল্প কলকারখানার মালিকরা।

সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১-এর আওতায় চুরি যাওয়া প্রায় সব মিটারই তাঁতকল, চালকল, আর সেচকাজের সঙ্গে সংযোগ করা। মিটার চুরি হওয়ায় বিচ্ছিন্ন রয়েছে তাঁত কলের বিদ্যুৎসংযোগ। এতে তাঁত বস্ত্র তৈরির সব ধরনের প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন তাঁতকল মালিক ও কৃষকরা।

পূর্ব লক্ষিকোলা ও রৌহা গ্রামের নুর ইসলাম, খাদেমুল ইসলাম, রাজু আহম্মেদ, নাসির উদ্দিনসহ অন্যরা জানান, প্রায় ছয় মাস আগে মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছিল। মিটার চুরি করে নেওয়ার পর চোর চক্র মিটার ফ্রেমে একটি টোকেন বিকাশ নম্বর রেখে যায়। সে নম্বরে সকালে যোগাযোগ করা হলে চক্রের এক সদস্য প্রতিটি মিটারের জন্য ছয় হাজার টাকা করে দাবি করে।

এ ব্যাপারে রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাতে চুরি হওয়া মিটারের আমরা কোন অভিযোগ পাইনি। পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রায়গঞ্জ উপজেলার ভূঁইয়াগাতি জোনের এজিএম সাইদুল ইসলাম বলেন, পূর্ব লক্ষিকোলা এলাকায় প্রায় ১০টি মিটার চুরির কথা শুনেছি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিসের ডিজিএম সোলাইমান হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, মিটার চুরি বিষয়ে কৃষকরা আমাকে অবগত করেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close