এস এম রাফি, চিলমারী (কুড়িগ্রাম)
বন্ধ হয়নি ব্রহ্মপুত্রের বালু উত্তোলন
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর রক্ষা বাঁধের সামনে থেকে ও আবাদী জমির পাড় ঘেঁষে সদ্য জেগে ওঠা চর থেকে কেটে নেওয়া হচ্ছে মাটি ও বালু। এতে হুমকির মুখে পড়েছে কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) সেচ ব্যবস্থার পাঁচ কিউসেক সোলার সেচ নির্মাণ প্যানেল, শত কোটি টাকা ব্যয়ে চলমান ব্রহ্মপুত্রের ডান তীর রক্ষা প্রকল্প, বিভিন্ন স্থাপনাসহ নদী তীরবর্তী জনপদ ও সরকার ঘোষিত নৌ-বন্দর পুনঃস্থাপনের পরিকল্পনা। এ নিয়ে এর আগেও প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকায় খবর প্রকাশ করা হলেও আমলে নিচ্ছেন না প্রশাসন।
কয়েক মাস থেকে ব্রহ্মপুত্রের বালু ও মাটি কেটে ব্যবসা করছে প্রভাবশালী একটি চক্র। তবে সম্প্রতি বিষয়টি প্রশাসনের নজরে পড়েছে। তবে লোক দেখানো অভিযানে করা হয় না জরিমানা নেওয়া হয় না আইনী কোনো পদক্ষেপ। এতে করে ওই এলাকার মানুষের মাঝে দেখা গেছে চরম ক্ষোভ।
স্থানীয় বাসিন্দা ইউনুছ আলীসহ বেশ কয়েকজন বলেন, নদীর তীরটি আমাদের গ্রামের সুরক্ষা হিসেবে কাজ করছে। এছাড়াও সরকারিভাবে দেওয়া সোলার সেচ ব্যবহার করে আমরা বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করছিলাম। এভাবে তীর থেকে মাটি কেটে নিলে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করবে।
উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের মেম্বার মো. মাহফুজার রহমান বলেন, এ এলাকায় সরকারিভাবে কৃষকদের কৃষি কাজে ব্যবহারের জন্য তিনটি সোলার সেচ প্রদান করা হয়েছিল। প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সোলার সেচ তিনটি রক্ষক আশাদুজ্জামান, ডালিম ও সপ্নীল। তারা নিজেরাই মাটির ব্যবসায় নিয়োজিত। এখান থেকে মাটি কাটার ফলে সোলার তিনটিসহ ডান তীর রক্ষা প্রকল্প হুমকির মুখে রয়েছে।
মাটি ব্যবসায়ী মো. বিদ্যুত মিয়া জানান, চরটি নদীতে ভেঙে যেতে পারে তাই আমাদের জমি থেকে একটি পয়েন্টের মাধ্যমে মাটি বিক্রি করছি। শামিউল আলম সপ্নীল বলেন, আমার গাড়ি ভাড়া নিয়ে মানুষ মাটি বিক্রি করে। আমার কোনো পয়েন্ট নেই, বিদ্যুৎ চাচার পয়েন্ট আছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
"