মনিরুল হক মনি, বাগেরহাট

  ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩

বাগেরহাটে সরিষার বাম্পার ফলনের আশা

বাগেরহাটে বারি সরিষা-১৪ এর বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনায় কৃষকের মুখে সোনালী হাঁসি ফুটেছে। স্থানীয় কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও জেলা কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বক্ষনিক পরামর্শে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দ্বিগুন জমিতে ভোজ্য তেল জাতীয় এই সরিষার চাষ করা সম্ভব হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে কৃষি বান্ধব এসরকারের তেলের চাহিদা অনেকাংশে পূরণ করা সম্ভব হবে।

জানা গেছে, বারি সরিষা-১৪ একটি ভোজ্য তেল জাতীয় ফসল। এটি চাষ করলে অল্প খরচে চাষিরা বেশি লাভবান হয়ে তাদের ফসল ঘরে তুলতে পারবেন। কম খরচে লাভ বেশি এ কারণেই চাষিরা এটির চাষাবাদ করে থাকেন। চাষাবাদের পর হতে মাত্র ১৭০-১৮০দিনে এই ফসল ঘরে তোলা সম্ভব। যে কারণে কৃষকরা এই বারি সরিষা চাষে আগের চেয়ে এখন বেশি আগ্রহী হয়ে পড়েছেন।

ফকিরহাটের বেতাগা গ্রামের মামুন বলেন, তিনি উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে মাত্র ৫০ শতক জমিতে এ বছর বারি সরিষার চাষ করেন। নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে তিনি জমি চাষাবাদ করে বারি সরিষার চাষ করেন। বারি সরিষা চাষে সার ও সেচ পানি কম লাগে যে কারণে তিনি তার জমিতে বারি সরিষার চাষ করেছেন।

একই গ্রামের আব্দুল সামাদ বিশ্বাস বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তাদেরকে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরন করেছে। এছাড়াও সামান্য পরিমানে প্রনোদনা স্বরুপ নগদ অর্থও প্রদান করা হয়। যে কারণে তারা উৎসাহী হয়ে এ বছরও বারি সরিষার চাষ করেছেন। এছাড়া একই গ্রামের জাকের বিশ্বাস, মনি মোহন দাশ, আব্দুল গফফার শেখ, কাত্তিক কুমার দাশ, প্রকাশ কুমার দাশ, গনেশ কুমার দাশ, অরুন মজুমদার, ধনঞ্জয় দাশ ও তন্ময় দাশ সহ একাধিক চাষিরা এই বারি সরিষার চাষাবাদ করেছেন।

ফকিরহাট উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর এই উপজেলায় সরিষার লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬৮ হেক্টর। কিন্তু তার চেয়ে দ্বিগুন জমিতে অর্থাৎ মোট ১১৫ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার মন্ডল ও সোলায়মান মন্ডল বলেন, আমাদের এই বেতাগা ইউনিয়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল মাত্র ২৫ হেক্টর, কিন্তু তার চেয়ে অধিক জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নজরুল মিল্লাত বলেন, বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকারের ভোজ্য তেলের চাহিদা মিটানোর উদ্দেশ্যে এবার বিপুল সংখ্যাক কৃষককে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে তাদেরকে বিনামূল্যে বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া কৃষকদেরকে মনিটরিং করার জন্য সকল ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তারা তাদেরকে নানা পরামর্শ প্রদান করেছেন। ফলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দ্বিগুন জমিতে বারি সরিষার চাষ করা সম্ভব হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে সরকারের যে মহতি উদ্যোগ তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close