সঞ্জয় সুত্রধর, শিবালয় (মানিকগঞ্জ)

  ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩

যমুনার বালু উত্তোলন ভাঙনের শঙ্কা

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে যমুনা নদীর তীরের বালু কেটে অবাধে চলছে রমরমা ব্যবসা। শিবালয় উপজেলার এক শ্রেণীর প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কাউকে তোয়াক্কা না করে নদীর তীর থেকে অবৈধ ভাবে এ দিন রাত এ বালু বিক্রি করছে। ফলে নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে ওই সব এলাকা নদীর গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে বলে স্থানীয় এলাকা বাসীরা আশংকা করছেন।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, এভাবে বালু টাকায় হুমকির মুখে পড়বে প্রায় ৫৬ কোটি টাকা ব্যায়ে বেরি বাধ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাখিল মাদরাসা ও স্থানীয় এলাকার মানুষের বাড়ি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নদীর তীর বর্তী এলাকার কয়েক জন জানায়, উপজেলার যমুনা তীরের গান্দাইল মোশারফ হোসেন ও লেবু শেখসহ ৪-৫ জন অবৈধ বালু ব্যবসায়ী। তাদের ভটভটি (ট্রলি) দিয়ে বালু কেটে অবাদে বিক্রি করা হচ্ছে। একই উপজেলার সাতুরিয়া এলাকার চঞ্চল শেখ, জাহাঙ্গীর আলম ও আলী হোসেন, আশিক শেখ ও জহির উদ্দিনসহ ১০-১২জন প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাদের ভটভটি (ট্রলি) দিয়ে প্রতিদিন ট্রলি দিয়ে যমুনা নদীর তীর থেকে বালু কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে অবৈধ ভাবে বালু কেটে বিক্রি করলেও যেন দেখার কেউ নেই।

ওই এলাকার আনিছুর রহমান জানান, গত কয়েক বছরে তীর তীরবর্তী এলাকার যমুনা নদীর ভাঙ্গনের কারনে ৪০০-৫০০ বাড়ি ঘর সারিয়ে নেওয়া হয়েছে। বেরি বাধটি দেওয়ার কারনে এলকায় নদী ভাঙ্গন আনেকটা কমে গেছে। এখন তীর ও বেরি বাধের কাছে থেকে বালু কেটে বিক্রি করলে বর্ষা মৌসুমে নদীর তীর বর্তী এলাকার ঘরবাড়ি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। বালু ব্যবসায়ীরা এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় কাদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করতে সাহস পান না। অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের কেউ অভিযোগ করতে তাদেরকে নানা ভাবে ভয়ভিতি ও হয়রানি করা হয়। তাই স্থানীয়রা অভিযোগ করতে চান না। এ ব্যাপারে স্থানীয় এলাকাবাসীরা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।

যমুনা নদী থেকে অবৈধ বালু ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন বলেন, ‘এলাকার অনেককে ম্যানেজ করে নদী থেকে বালু কেটে বিক্রি করা হচ্ছে’। নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু কেটে বিক্রি করা চঞ্চল শেখ জানান, ‘আলী হোসেন ও জাহাঙ্গর আলমসহ আমরা ১০-১২ জন নদী থেকে বালু কেটে বিক্রি করছি। তবে বেরি বাধের কোন ক্ষতি হবে না। প্রশাসন আসলে বালু কাটা বন্ধ রাখতে হয়। আমরা কয়েক জন সাংবাদিককেও কিছু টাকা মাসোহারা দেই’।

এ বিষয়ে ইউএনও মো. জাহিদুর রহমান বলেন, যমুনা নদীর তীর থেকে অবৈধ ভাবে বালু কেটে বিক্রি করার বিষয়টি আমাকে কেউ জানায় নি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close