বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বক্তব্য তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি বলেছেন, ‘গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন বাংলাদেশ বাইচান্স স্বাধীনতা অর্জন করেছে। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় একজন রাজাকার ছিলেন। উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার গতিকে রোধ করার জন্য বিএনপি নেতৃত্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি ষড়যন্ত্র করছে।’

শনিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে জামালপুরের মাদারগঞ্জে মির্জা আজম কলেজ মাঠে আদারভিটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আজম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের শক্তি ঐক্যবদ্ধ। একইসঙ্গে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, পাকিস্তানপন্থী মানুষগুলো বিএনপির নেতৃত্বে একটি প্লাটফর্মে ঐক্যবদ্ধ। বিএনপি দেশে অশান্তি সৃষ্টির জন্যই সভা সমাবেশ করছে। তারা বলেছিল ১০ ডিসেম্বরের পর খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের নেতৃত্বে নাকি দেশ চলবে। ১১ ডিসেম্বর তারেক রহমান বিমানবন্দর থেকে সোজা বঙ্গভবনে গিয়ে ক্ষমতা দখল করবেন। বিএনপি এ রকম উদ্ভট ষড়যন্ত্রমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতা বিরোধীরা চাচ্ছে বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে। বাংলাদেশ যাতে সামনে এগোতে না পারে। বাংলাদেশ যাতে পাকিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে যায়। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি আজ ঐক্যবদ্ধ। বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য। বাংলাদেশ ছিল বিশ্বের দরিদ্রতম দেশ। ১৪ বছরে দরিদ্রতম দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশ। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। ১৪ বছর আগে আমাদের মাথাপিছু আয় ছিল ৫৪০ ডলার, এখন দুই হাজার ৮০০ ডলার। ২০২৬ সালের মধ্যে মাথাপিছু আয় হবে চার হাজার ডলার। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে ইউরোপ, আমেরিকার মত উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ। বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।’

আদারভিটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোনায়েম হোসেন সুজন তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ, সহ-সভাপতি ফারুক আহম্মেদ চৌধুরী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল আমিন চান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জীবন কৃষ্ণ সাহা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান বেলাল, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য মির্জা গোলাম কিবরিয়া কবির প্রমুখ।

"