ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

  ০৯ ডিসেম্বর, ২০২২

সেতু হলেও কমেনি দুর্ভোগ

চোখের সামনে দৃশ্যমান সেতু নদীর উপর দাঁড়িয়ে। কিন্তু সেতু দিয়ে পারপার তো দূরের কথা এখন পর্যন্ত হেঁটে পার হওয়াও দুষ্কর। গত দুই-তিন বছর ধরে দুই পাড়ের হাজার হাজার মানুষের দুঃখ হ্রাসের চেয়ে বেড়েছে। কারণ সেতুর দুই পাশের সংযোগ অংশের কাজ এখনো শেষ হয়নি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আশার বাণী শোনালেও এলাকার লোকজনের কাছে তা শুধুই ভ্রম। এখন দুই পাড়ের মানুষের চলাচলের জন্য ভরসা নৌকা। ডাকাতিয়া নদীর উপর নির্মাণাধীন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ ও সদর উপজেলার সংযোগকারী ভাষা সৈনিক এম এ ওয়াদুদ সেতুর কথা এটি।

জানা গেছে, এককালের প্রমত্তা ডাকাতিয়া নদীর ওপর ২০১৭ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ২৭৭ মিটার দীর্ঘ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মধ্যে দিয়ে নির্মাণকাজ শুরু হয়। ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের চর রনবলিয়া গ্রাম ও চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ছোট সুন্দর গ্রামের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত বগার গুদাড়ায় এলাকা দিয়ে গেছে সেতুটি। ৩৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকার প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার নবারণ ট্রেডার্স লিমিটেড সেতুটির মূল কাজ সম্পন্ন করে। পরে ২০২০-২১ অর্থ বছরে দ্বিতীয় ধাপের কাজের জন্য ২৮ কোটি ৯৫ লাখ ৮২ হাজার ৮৫৪ টাকা ব্যয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রিজভী কনস্ট্রাকশন ও ইউনুছ আল মামুন (জেবি) যৌথভাবে কাজ শুরু করে।

ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পুর্ব ইউনিয়নের চররনবলিয়া গ্রামের নূর মোহাম্মদ বলেন, নিজেদের জমি দিয়েছি সেতুর জন্য। সেতু হলে দুই পাড়ের মানুষের জন্য ভলো হবে এই ভেবে। কিন্তু বছরের পর বছর যাচ্ছে, সেতুর কাজ শেষ হয় না। মরার আগে দেখতে পারবো কিন না জানি না। সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ছোট সুন্দর গ্রামের বাসিন্দা মাধব দাস বলেন, সেতুর ওপর দিয়ে আমরা চলাচল করতে পাবর কি না জানি না।

সরেজমিন দেখা যায়, সেতুর ফরিদগঞ্জ উপজেলা অংশে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ৮-১০ জন শ্রমিক সেতুর ডায়াফাক্টের কাজ করছেন। অপর পাড়ের পিয়ারের ক্যাপের কাজ শেষে একটি ডায়াফাক্টের কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাইট প্রকৌশলী নাঈমুর রহমান। তিনি জানান, সেতুর সংযোগ অংশের জন্য দুই পাড়েই নির্মাণকাজ চলছে। চাঁদপুর সদর অংশের কাজ অনেকখানি শেষ হয়েছে। এখন ফরিদগঞ্জ অংশের কাজ চলছে। আশা করছি আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে সেতুর সংযোগ অংশ ও সড়কের কাজ প্রায় শতভাগ শেষ হবে। রাতে দিনে গড়ে ৩০ জন শ্রমিক কাজ করছেন। গত দুই মাস ধরে কাজে গতি এসেছে বলেও জানান তিনি।

চাঁদপুর এলজিইডি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউনুস হোসেন বিশ্বাস বলেন, সেতুর দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মেয়াদ শেষ হয়। পরবর্তীতে মেয়াদ বৃদ্ধি করে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর আগেই পুরোপুরি সম্পন্ন হওয়ার আশা করছি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close