কক্সবাজারের পেকুয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণের জন্য প্রস্তাবিত ৫৪ শতক জমি রাতের আঁধারে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে দখলে নিয়েছেন প্রভাবশালীরা। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে মগনামা ইউনিয়নের বাইন্যা ঘোনা গ্রামের এসব জমি দখল করা হয়। জমি দখলমুক্তসহ দখলবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সহকারী কমিশনারের (ভূমি) দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের বাইন্যা ঘোনা গ্রামে মুজিববর্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণে প্রস্তাবিত ৫৪ শতক খাস খতিয়ানের জমি রাতের আঁধারে স্থাপনা নির্মাণ করে দখলে নিয়েছে ভূমিদস্যুরা।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিন পরিদর্শন করে জানা যায়, মগনামা ইউনিয়নের বাইন্যা ঘোনা গ্রামের কবরস্থানের দক্ষিণ পাশে সরকারি এক নম্বর খাস খতিয়ানের ৫৪ শতক জমি গৃহহীন ও ভূমিহীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগো সরেজমিন পরিমাপ করে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) দপ্তরে কয়েক মাস আগে প্রস্তাবিত জমির নকশাসহ প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এরপরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে স্থানীয় ভূমিদস্যু মাস্টার রফিক। ৬ ডিসেম্বর রাতের আঁধারে বাইন্যা ঘোনা গ্রামের মৃত জামাল আহমদের তিন ছেলে মাস্টার রফিক আহমদ, রহিম উদ্দিন, মফিজুর রহমান ও কবির আহমদের ছেলে ইউসুফ ৫০-৬০ জন অস্ত্রধারী ভাড়াটে সন্ত্রাসী জড়ো করে পলিথিনের ঘেরা বেড়া দিয়ে একটি স্থাপনা নির্মাণ করেন। সরকারি জমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের বিষয়টি তাৎক্ষণিক পেকুয়ার সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) জানান।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, বাইন্যা ঘোনা গ্রামের ভূমিদস্যু মাস্টার রফিকের লোকজন ৬ ডিসেম্বর রাতের আঁধারে সরকারি জমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছে। পেকুয়ার প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করা হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কোনো ধরনের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

তবে পেকুয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, খুব শিগগিরই মগনামা বাইন্যা ঘোনা গ্রামে সরকারি খাস জায়গায় অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদসহ দখলবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সরেজমিন দেখা গেছে, মগনামা বাইন্যা ঘোনা গ্রামে মাস্টার রফিক ইতিপূর্বে সরকারি খাস জায়গা অবৈধভাবে দখল করে দুটি বড় আকারের পোল্ট্রি ফার্ম তৈরি করে দখলে রেখেছে।

পেকুয়া সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার কাজল কান্তি শীল জানান, উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের বাইন্যা ঘোনা গ্রামে তিনি সরেজমিন পরিদর্শন করে সরকারি খাস জায়গা দখলের সত্যতা পেয়েছেন। তিনি বিষয়টি পেকুয়ার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) দপ্তরে লিখিতভাবে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।

"