আল-আমিন, বাবুগঞ্জ (বরিশাল)

  ০২ ডিসেম্বর, ২০২২

বাবুগঞ্জে তিন বছরেও শেষ হয়নি সেতু নির্মাণ

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নে রাজার ব্যার খালের ওপর গার্ডার সেতু নির্মাণ কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে দুই এলাকার বাসীসহ হাজারও মানুষ। উপজেলার রহমতপুর ও চাঁদপাশা ইউনিয়নের নোমর হাট এলাকার রাজার ব্যার খালের ওপর নির্মাণাধীন সেতুর কাজ তিন বছরেও শেষ না হওয়ায় ওই এলাকার মানুষসহ স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীদের খাল পাড় হতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।

উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে বরিশাল বিভাগের দক্ষিণ অঞ্চলের বাবুগঞ্জে রাজার ব্যার খালের ওপর আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করেন বরিশাল এলজিইডি। এতে ওই সেতুর এক কোটি ৭৫ লাখ ৬৭,৯৮১ টাকা ব্যয়ে নির্মাধীন কাজ পান মেসার্স রূপালী কনেষ্ট্রাকশন। কিন্তু তিন বছরেও শেষ হয়নি এর নির্মাণের কাজ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজার ব্যার খালের ওপর দিয়ে হাজার হাজার মানুষ নিয়মিত যাতায়াত করেন। তাছাড়া এসব এলাকার মানুষ স্বাস্থ্য সেবার জন্য নিয়মিত বরিশাল শহরে যাতায়াত করে থাকে। দ্রত ও স্বল্প সময়ে যাতায়াতের জন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী, রোগী ও সাধারণ মানুষ ব্যবহার করে থাকে।

স্থানীয় সোহরাব হোসেন বলেন, সেতুটি নির্মাণ না হওয়ার কারণে, আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অসুস্থ রোগী নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা বা উপজেলা শহরে যেতে পারি না। ছেলে মেয়েদের স্কুল কলেজে যেতে সমস্যায় হয়। কাঠের সেতু দিয়ে যাওয়ার সময় পড়ে গিয়ে অনেক মানুষের হাত পা ভাঙছে। মারাত্মক ঝুকি নিয়ে এখান দিয়ে চলাচল করতে হয়। এই সেতু ব্যবহার করে আমরা চাঁদপাশা ইউনিয়নের মানুষ রহমতপুর ইউনিয়নে তথা উপজেলা সদরে চলাচল করি। কাজ শুরুর তিন বছর অতিক্রম হলেও অদৃশ্য কারনে এর নির্মান কাজ শেষ হচ্ছে না।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে কাঠের সাঁকো পাড় হয়ে স্কুল কলেজে যাতায়াত করি। বর্ষায় খালের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কাঠের সেতু প্রায়শই পানির নিচে তলিয়ে থাকতো, ঝুকি নিয়ে পাড় হতে গিয়ে ভিজে স্কুলে যেতে হয়।

রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিলন মৃধা বলেন, সেতুটির কাজ শুরু থেকেই ধীর গতি, তিন বছর ধরে এর অর্ধেক কাজও সম্পন্ন হয় নি। নির্মানাধীন সেতুর পাশ দিয়ে সময়িক চলাচলের জন্য কাঠ দিয়ে কোন রকম একটি শাকো তৈরি করেছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কতৃপক্ষকে দ্রত এর কাজ সম্পন্ন করার দাবি জানাই।

বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আগের ডিজাইন পরিবর্তীত হয়েছে, সেতুর ডিজাইন পরিবর্তন হওয়ার কারণে সময় লেগেছে। তবে আগামী জানুয়ারী মাসের মধ্যে এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হবে।

বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফ মো. জামাল উদ্দিন বলেন, সেতুটির আগের ডিজাইন পরিবর্তিত হয়ে, নতুন ডিজাইনে এর কাজ চলমান রয়েছে। বর্তমানে সেন্টারিং এর কাজ চলছে, আগামী এক দেড় মাসের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close