রবিউল ইসলাম, টঙ্গী (গাজীপুর)

  ০২ ডিসেম্বর, ২০২২

২০ বছর পর টঙ্গী আ.লীগের সম্মেলন

ক্ষোভ ভুলে চাঙ্গা তৃণমূল

প্রায় ২০ বছর পর টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। অবিভক্ত টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কমিটি গঠিত হলেও এরপর আর কোনো সম্মেলন বা কমিটি গঠন হয়নি। এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভও বিরাজ করছিল দীর্ঘদিন ধরে। তবে তার অবসান ঘটিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে এ সম্মেলন ঘিরে। শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি মাঠে টঙ্গীর দুই থানার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন দলের নেতাকর্মীরা।

ইতোমধ্যে টঙ্গী ও আশপাশ এলাকায় সড়ক-মহাসড়কে সম্ভাব্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের ছবি সংবলিত বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণ শোভা পাচ্ছে। ২০১৩ সালের ১৬ জানুয়ারি গাজীপুর সিটি করপোরেশন হওয়ার পর ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর আটটি থানা নিয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের যাত্রা শুরু হয়। আটটি থানার মধ্যে টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানা এলাকা অন্য থানা থেকে বড়। ২০০২ সালে ১৪ নভেম্বর অবিভক্ত টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের কমিটির সভাপতি হিসেবে ফজলুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মো. রজব আলীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে ২০০৩ সালের ১ অক্টোবরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়।

তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন, আগের কমিটির হওয়ার পর থেকে কমিটির কার্যকলাপ নেই বললেই চলে। বর্তমান সভাপতি ফজলুল হকের বয়স হয়েছে। আর সাধারণ সম্পাদক রজব আলী বহিস্কৃত মেয়রের অনুসারী হওয়ায় তাকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জনান নেতাকর্মীরা। থানার নেতৃত্ব হতে হবে ত্যাগী নেতাকর্মী বান্ধব। তবেই আগামী সিটি ও সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী পরিবারে ঘরে আসবে বলে অনেকেই মনে করছেন তারা। ইতিমধ্যেই সফিউদ্দিন স্কুল মাঠে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।

টঙ্গী পূর্ব থানা সভাপতি হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন অবিভক্ত টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক টঙ্গী পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জয়নাল আবেদীন বিএ ও সাংবাদিক শেখ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও অবিভক্ত টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মো. নূরুল ইসলাম নূরু। তিনি ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) সদস্যও নির্বাচিত হয়েছেন। টঙ্গী সরকারি কলেজের সাবেক ছাত্র নেতাও ছিলেন। অবিভক্ত টঙ্গী থানা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মো. সাত্তার মোল্লা ও টঙ্গী থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কেএম নাসির উদ্দিন, অ্যাডভোকেট শাজাহান মিয়া ও মহানগর তাঁতীলীগের সভাপতি মো. শাহ আলম।

অপরদিকে নবগঠিত টঙ্গী পশ্চিম থানার সভাপতি প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল আলীম মোল্লা, পৌরসভার সাবেক কমিশনার মো. সেলিম মিয়া ও সাবেক কাউন্সিলর মুজিবুর রহমান উল্লেখযোগ্য। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যারা মাঠে রয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতা ও সিটি করপোরেশনের ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. নাসির উদ্দিন মোল্লা, ৫১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আমজাদ হোসেন, আজিম হায়দারসহ বেশ কয়েকজন। তবে আজিম হায়দার গাজীপুর মহনগন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খানের অনুসারী এবং বাকীরা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার ও তার ছেলে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের অনুসারী।

সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি বলেন, সম্মেলনের প্রস্তুতি শেষ। সম্মেলনটি যেন মহাসম্মেলনে রূপান্তরিত হয়ে মাঠে লোকে লোকারণ্য হয় এজন্য আমরা কাজ করছি। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। কেন্দ্রের একাধিক নেতা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close