গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পপি খাতুন (৩১) নামে এক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মামলায় তার স্বামী মোহাইমেনুল ইসলামকে (৩৩) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) রাতে গ্রেপ্তারের পর শনিবার (২৬ নভেম্বর) সকালে তাকে গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পপি খাতুন নীলফামারীর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজস্ট্রেট পদে কর্মরত আছেন। তিনি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জীবনপুর গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের মেয়ে। গ্রেপ্তার মোহাইমেনুল ইসলাম একই গ্রামের বাসিন্দা মাকসুদুর রহমানের ছেলে।

থানা সূত্রে জানা যায়, পৌর শহরের বোয়ালিয়া গ্রামে ভগ্নিপতি সোহরাবের বাড়িতে পপি খাতুন বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) আসেন। পরদিন দুপুরে মোহাইমেনুল ইসলাম সেখানে এসে তার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। পপি খাতুন টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে মারধর করেন। এ ঘটনায় পপি খাতুন রাতেই স্বামী মোহাইমেনুলের বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় পুলিশ রাতেই মোহাইমেনুলকে গ্রেপ্তার করে। ম্যাজিস্ট্রেট পপি খাতুন এর আগেও তার স্বামীকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নীলফামারী সদর থানায় মামলা করেছিলেন।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি ইজার উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় রাতে থানায় মামলা হলে মোহাইমেনুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হলে ম্যাজিস্ট্রেট কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

"