আবু সাইদ খোকন, আমতলী (বরগুনা)

  ২৫ নভেম্বর, ২০২২

আমতলীতে আলো ছড়াচ্ছে শেখ হাসিনা টেকনিক্যাল স্কুল

বরগুনার আমতলীতে শেখ হাসিনা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এ অঞ্চলের অসহায় গরিব ছেলেমেয়েদের শিক্ষায় আলোকিত করছে। ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড সলগ্ন বাঁশতলা গ্রামে স্থাপিত এ প্রতিষ্ঠানে ইলেকটিক্যাল, কম্পিউটার, অটেমোবাইল, এ্যাপারেল ম্যানু ফ্যাকচারিং বিষয়ে ছাত্রছাত্রীরা অধ্যায়ন করছে। বর্তমানে ২১১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এই টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজটি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পাঁচতলা বিশিষ্ট বিশাল একাডেমিক রূপান্তরিত হয়েছে। বিদ্যালয়ের সীমানায় বাউন্ডারি ওয়াল, গেইট, বিদ্যালয়ের সামনে বিশাল মাঠ, একাডেমিক ভবনে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্লাস রুম, বিশাল অফিস রুম, শিক্ষক মিলনায়তন রুম, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, কম্পিউটার ল্যাব রুম, বিজ্ঞানাগার, মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম, বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা ও মুক্তিযোদ্ধা কর্নার রুম, ছাত্র, ছাত্রী ও শিক্ষকদের জন্য পৃথক ওয়াশরুম, আর্সেনিকমুক্ত পানির ব্যবস্থাসহ অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নিজাম উদ্দিনের তত্বাবধানে স্কুলের বিল বোর্ড স্থাপন ও মাঠে গাছের চারা রোপন করে প্রতিষ্ঠানকে মনোরম পরিবেশে গড়ে তুলছেন।

বর্তমানে স্কুল অ্যান্ড কলেজটিতে চিফ ইনসট্যাক্টরের ৫টি টেক ও নন টেকইনসট্যাক্টরের ১৪টি জুনিয়র ইনসট্যাক্টরের ২৬টি সহায়ক কর্মচারীর ১৮টি পদ রয়েছে। এর মধ্যে চিফ ইনসট্যাক্টরের ২টি টেক ও নন টেক ইনসট্যাক্টরের ১২টি জুনিয়র ইনসট্যাক্টরের ২৬টি সহায়ক কর্মচারীর ১৫টি পদ শূন্য রয়েছে। শিক্ষক কর্মচারীর পদ শূন্য থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।

শিক্ষার্থী হাসিব বলেন, ‘স্যারেরা আমাদের ভাল মতো পাঠদান করায়। আমাদের বরিশাল ঢাকা গিয়ে আর পড়াশুনা করতে হবে না।’ আরেক শিক্ষার্থী মাইশা বলেন, ‘আমাদের কষ্ট করে আর কোথায় যেতে হবেনা। বাড়ি থেকে গিয়ে কলেজে ক্লাস করতে পারবো। এখান থেকে পাশ করে চাকরি করতে পারবো।’

আমতলীর চাওড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বাদল খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে সরকারী শেখ হাসিনা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ দক্ষিণাঞ্চলের অসহায় দরিদ্র শিক্ষার্থীদের আলোর বর্তিকা হিসাবে কাজ করবে।

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করার পর আমাদের শিক্ষক কম থাকায় একটু সমস্যা হচ্ছে। এছাড়াও কলেজের কাজ এখনো শেষ হয়নি। স্কুল প্রতিষ্ঠার শুরুতেই আমি গুরুত্ব দেই এর নিয়মণ্ডশৃঙ্খলা ও পড়া-লেখার মানোন্নয়নের দিকে।

বরগুনা-১ আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ সম্ভু বলেন, দক্ষিনাঞ্চলের সকল মানুষের মাঝে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। দক্ষিনাঞ্চলের উন্নয়ন কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। যার মাধ্যমে এখানকার মানুষ সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারবে। তিনি দ্রুত শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে কথা বলবেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close