বলরাম দাশ অনুপম, কক্সবাজার

  ২৪ নভেম্বর, ২০২২

আত্মস্বীকৃত ১০১ ইয়াবা বিক্রেতার সাজা

কক্সবাজারের টেকনাফে প্রথম দফায় আত্মসমর্পণ করা ১০১ ইয়াবা বিক্রেতার প্রত্যেককে ১৬ মাস করে কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া অস্ত্র মামলায় সবাইকে খালাস দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পলাতক আসামিদের আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশের দায়ের করা দুটি মামলার রায় বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে ঘোষণা করেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রায়ের দিন কারাগারে থাকা সব আসামিদের বেলা ১১টা ২০ মিনিটে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের উপস্থিতিতে মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারক। তবে ১৭ আসামি কারাগারে থাকলেও পলাতক ছিলেন বাকি ৮৩ জন। এদের মধ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিরাও রয়েছেন। প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির চার ভাই আব্দুল আমিন, আব্দুর শুক্কুর, শফিকুল ইসলাম, ফয়সাল রহমান), তার ভাগ্নে সাহেদ রহমান নিপু, চাচাতো ভাই মোহাম্মদ আলম। আরও আছেন টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিহাদ ও তার বড় ভাই আব্দুর রহমান, বর্তমান জেলা পরিষদ সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমেদের ছেলে দিদার মিয়া, টেকনাফ পৌরসভার নয় নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল বশর নুরশাদ, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের এনামুল হক এনাম মেম্বারসহ অনেকে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফে ইয়াবা ও অস্ত্রসহ একদল ইয়াবা বিক্রেতার অবস্থান নেওয়ার খবরে অভিযান চালায় পুলিশ। ওই সময় পুলিশের কাছে ১০২ জন ইয়াবা বিক্রেতা আত্মসমর্পণের ইচ্ছে প্রকাশ করেন। পরে টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের উপস্থিতিতে তারা আত্মসমর্পণ করেন। ওইদিনই তাদের আসামি করে টেকনাফ মডেল থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়। থানার তৎকালীন পরিদর্শক (অপারেশন) শরীফ ইবনে আলম বাদী হয়ে মামলাগুলো করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় পরিদর্শক এবিএমএস দোহাকে। মামলা দায়েরের দিনই আদালতের মাধ্যমে আসামিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলাকালে ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট মোহাম্মদ রাসেল নামে এক আসামি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে মারা যান। এরপর ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহ-এর আদালতে ১০১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে মামলাটি বিচারের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। একই বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল সব আসামির উপস্থিতিতে শুনানি শেষে মামলার চার্জ গঠন করেন। গত ১৫ নভেম্বর শুনানি শেষে মামলার রায় ঘোষণা করা ২৩ নভেম্বর।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close