আবদুল্লাহ আল মামুন, মাদারীপুর

  ২৪ নভেম্বর, ২০২২

কাজে আসছে না চার কোটি টাকার সেতু

মাদারীপুরের কালকিনিতে চার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় দুটি ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের কাজে লাগছে না সেতুটি। সংযোগ সড়ক না থাকায় মই বেয়ে সেতু পার হতে হচ্ছে স্থানীয়দের। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে দ্রুতই সংযোগ সড়ক নির্মাণকাজ করা হবে। মাদারীপুর কালকিনি উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শিকারমঙ্গল ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ মিয়ারহাট বাজারের পাশেই আড়িয়াল খাঁ নদের একটি শাখা খালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। চরদৌলতখান ও শিকারমঙ্গল ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত সুবিধার জন্য ‘অনুর্ধ্ব একশ মিটার ব্রিজ উন্নয়ন প্রকল্পের’ আওতায় চার কোটি ৯৪ লাখ ৫৯ হাজার ৩৭৬ টাকা ব্যয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স সরদার এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে এলজিইডি কর্তৃপক্ষের ৫১ মিটার দৈর্ঘ্যরে সেতু নির্মাণে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মিয়ারহাট বাজারের পাশের খালটিতে সেতুটি নির্মাণকাজ শুরু হয়। যা চলতি বছরের জুনের মধ্যেই শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেতুটির তিনটি স্প্যানসহ মূল অবকাঠামো গত বছরই নির্মাণ শেষ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সেতুর দুইপাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করেই ফেলে রাখা হয়। এতে দুই পাড়ের দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা কাঠের মাচা করে চলাচল করছে। আবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তি বলেন, তিনি মোক্তারহাট এলাকা থেকে প্রতি সপ্তাহের দুদিন মিয়ারহাটে মালামাল বেচাকেনা করতে আসেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সেতুটির কাঠের মাচা বেয়ে উপরে উঠতে খুব কষ্ট হয়। তাই এখন সপ্তাহে মিয়ারহাটে একবার আসেন তিনি। মিয়ারহাট এলাকার বাসিন্দা হোসনে আরা বলেন, সেতুর গোড়ায় মাটি না দেওয়ায় উঠতে খুব কষ্ট হয়। যারা বৃদ্ধ মানুষ তাদের তো আরো বেশি কষ্ট হয়। মিয়ারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, মাটি থেকে সেতুর উচ্চতা প্রায় ১২ ফুটের মত। তাই সেতু দিয়ে উঠতে কষ্ট হয় বলে অনেকে ঠিকমত স্কুলে আসতে চায় না।

সিডিখান ইউনিয়নের বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, আগে এই খালটি পার হওয়ার জন্য নৌকা ছিল। সেতু করার কারণে এখন নৌকা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সবার কষ্ট হলেও সেতুর মাচা বেয়ে পার হয়। দ্রুত সেতুর দুইপাড়ে মাটি ভরাট করে ভ্যান ও মানুষের চলাচলের ব্যবস্থা করে দেওয়ার দাবি তার।

সেতুর সংযোগ সড়ক কেন নির্মাণ করা হচ্ছে না জানতে চাইলে কালকিনি উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী রেজাউল করিম বললেন, আমি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলেছি। যত দ্রুত সম্ভব সেতুর দুইপাড়ে মাটি ভরাট করে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে দেওয়া হবে। আশা করছি চলতি মাসেই আমরা মাটি ভরাটের কাজ শুরু করে দেব। এরপর থেকে এ এলাকার মানুষের চলাচলে আর সমস্যা হবে না।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close