কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ভরা মৌসুমে চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষের ভরসা এখন ওএমএসের চাল। ফলে লম্বা হচ্ছে খোলা বাজারে চাল কেনার লাইন। পাঁচ কেজি চালের আশায় ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন ক্রেতারা। তবে বরাদ্দ স্বল্পতায় চাল না পেয়ে অনেকেই খালি হাতে ফিরছেন।

মঙ্গলবার সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সকাল ৯টায় ওএমএসের দোকানগুলো খুললেও ক্রেতারা কাকডাকা ভোর থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। চোখে পড়ার মত ছিল নারী-পুরুষের পৃথক লম্বা লাইন। চাহিদার চেয়ে ক্রেতাদের ভিড় বেশি ও বরাদ্দ স্বল্পতার কারণে চাল না পেয়ে অনেকেই খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ডিলাররা। নিম্নবিত্তের পাশাপাশি মধ্যবিত্তরা ওএমএসের চাল নিতে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। এমনকি উপজেলা শহরের পাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষ ওএমএসের চাল কিনতে লাইনে ভিড় করছেন।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ভূরুঙ্গামারীতে খোলা বাজারে ওএমএসের চাল বিক্রি শুরু হয়। উপজেলায় হাবিবুর রহমান, চান মিয়া, মোতাহার হোসেন, মাহবুবার রহমান, গোলাম রব্বানী ও রোমিও জাহান কেয়া এই ছয়জন ডিলারের মাধ?্যমে রোববার থেকে বৃহস্পতিবার ৩০ টাকা কেজি দরে দুই টন করে সপ্তাহে ২০ টন চাল বিতরণ করা হচ্ছে।

উপজেলার সদর ইউনিয়নের দেওয়ানের খামার গ্রামের ফেডারেশন পাড়ার রহিমা বেগম (৫০) জানান, গত রোববার দেরিতে আসার কারণে চাল পাননি। দোকান থেকে বেশি দামে চাল কিনতে হয়েছে। তাই মঙ্গলবার ভোরে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে পাঁচ কেজি চাল ১৫০ টাকায় কিনেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী জানান, তার স্বামী একটি বেসরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের অফিস সহকারী। স্বামীর সামান্য আয়ে পাঁচ সদস্যদের সংসার চালানো কষ্টকর। তাই ওএমএসের চাল নিতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েছি।

ভূরুঙ্গামারী-সোনাহাট সড়কের বাসস্ট্যান্ডে ওএমএসের ডিলার হাবিবুর রহমান জানান, খাদ্য অধিদপ্তর থেকে প্রতিদিন দুই টন করে চাল দেওয়া হয়। অনেক সময় দুপুরের আগেই চাল শেষ হয়ে যায়। বরাদ্দ কম থাকার কারণে চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। অনেকেই চাল না পেয়ে ফেরত যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

এবিষয়ে জানতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকারী আব্দুল আহাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে একাধিকবার অফিসে গেলেও তানাকে পাওয়া যায়নি। পরে ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

"