শামীম রেজা ডাফরুল, গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা)

  ২২ নভেম্বর, ২০২২

কৃষকের ঘরে নবান্ন উৎসব

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সর্বত্র এখন আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ের ধুম পড়েছে। কৃষকের ঘরে এখন নতুন ধানের মৌ মৌ গন্ধ। ধানের ভালো ফলনে এ অঞ্চলের কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। নতুন ধান ওঠার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকের ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে নবান্ন উৎসব।

উপজেলার মেঠোপথের দুই ধারে দিগন্ত বিস্তৃত মাঠে আমন ধান পেকে সোনালী রং ধারণ করেছে। বিস্তীর্ণ খেতে এখন শুধুই ধান কাটার দৃশ্য। কৃষক ধান কেটে বাড়ির আঙিনায় এনে মাড়াই করছে। আর উঠানে ধান ঝেড়ে সিদ্ধ-শুকানোসহ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন গৃহবধূরা। একদিকে চলছে আমন ধান কাটা উৎসব অন্যদিকে শুরু হয়েছে ইরি-বোরো, গম, আলু ও রবিশষ্য চাষের আয়োজন। ধান কাটা, মাড়াই, ইরি-বোরোর বীজ বোনা, গম, আলু ও রবিশষ্য আবাদের জন্য লাঙল, মই দিয়ে জমি তৈরিতে ব্যস্ত এখন কৃষক।

উপজেলার পিয়ারাপুর গ্রামের কৃষক মতিয়ার রহমান, শামীম জানান, এবার বন্যা ও পোকার আক্রমণ তেমন না হওয়ায় তার তিন একর জমিতে আমন ধানের খুব ভালো ফলন হয়েছে। এখন হাট-বাজারে ধানের ন্যায্য দাম পেলেই তারা খুশি।

নতুন ধান ওঠার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকের ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে পিঠা, পায়েস তৈরি ও নবান্নের উৎসব। হাট-বাজারেও উঠতে শুরু করেছে নতুন ধান। কৃষকরা জানান, শুরুতেই ভালো বীজ সংগ্রহ, বীজতলা তৈরি, চারা উৎপাদন এবং আগে ভাগেই খেত প্রস্তুত করে চারা রোপণের পর সময়মত সেচ, সার প্রয়োগ করতে পেরেছেন তারা। সেইসরেঙ্গ আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ মৌসুমে আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ জানান, উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে এবার বিভিন্ন জাতের আমন চাষ হয়েছে ৩১ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। এ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং বন্যা না হওয়ায়, সময়মত সেচ দিয়ে হলেও কৃষকরা জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন। এ ছাড়া আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সময়মত পরামর্শ দেওয়ায় উপজেলায় এবার আমনের আবাদ ভালো হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close