নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ মজুদ ও পরিবহনের অপরাধে নোয়াখালীর হাতিয়া ও সদর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ৬ ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় প্রায় ৩ মণ মাছ জব্দ করা হয়। পরে সেসব মাছ বিভিন্ন ইতিমখানায় বিতরণ করা হয়।

শুক্রবার (৭ অক্টোবর) অভিযানের প্রথম দিনে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পৃথকস্থানে এসব অভিযান চালানো হয়। এতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সহযোগিতা করেন স্ব-স্ব উপজেলা মৎস্য অফিস।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে হাতিয়ার নলচিরা ঘাট হয়ে পূর্বে মজুদকৃত ৩৫ কেজি ইলিশ মাছ ট্রলারে করে অন্যত্র নেওয়া হচ্ছিল, এমন সংবাদের ভিত্তিতে ওই ঘাটে অভিযান চালায় নলচিরা নৌ-পুলিশ। এ সময় ৩৫ কেজি মাছসহ ৪ জনকে আটক করা হয়। পরে ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মো. সেলিম হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আটককৃতদের ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন।

অপরদিকে, শুক্রবার সকালে জেলার সদর উপজেলার মাইজদী পৌর বাজার ও সোনাপুর বাজারে অভিযান চালায় উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বায়েজীদ বিন আখন্দ। এ সময় দুই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় ২ মণ ইলিশ জব্দ করা হয়। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ মাছ মজুদ রাখায় একজনকে দুই হাজার ও অপর ব্যবসায়ীকে ১৫০০ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। ইলিশের প্রজনন মৌসুমে সরকারের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এ অভিযান অব্যহত থাকবে। আইন লঙ্গনকারীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।

এদিকে বরগুনার তালতলী প্রতিনিধি জানান, তালতলীতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার প্রস্তুতি নেওয়ার অপরাধে ৪ জেলেকে ১ মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, ১০০ কেজি বরফ জব্দ করা হয়। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আল নূর এ আদালত পরিচালনা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. জাহাঙ্গীর, মো. মোশারেফ, মো. দেলোয়ার মাতুব্বর, মো. সুলাইমান। তাদের সকলের বাড়ি উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে।

তালতলী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল আলম জানান, ইলিশ রক্ষায় মৎস্য বিভাগের একটি টিম পায়রা নদীতে অভিযানে নামে। শুক্রবার ভোরে মাছ ধরার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় নদী থেকে ৪ জনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১০০ কেজি বরফ ও ২ হাজার মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রত্যেককে এক মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

"