নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

  ০৮ অক্টোবর, ২০২২

সিদ্ধিরগঞ্জে সাত মাসে প্রসব

বাঁচানো গেল না নবজাতককে

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে প্রো-অ্যাকটিভ হসপিটালে সাত মাসে প্রসব করানো সেই নবজাতকবে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১২টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় এনআইসিওতে বাচ্চাটির মারা যায়। গত বুধবার রাতে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ডাক্তার নূরজাহান বেগম গৃহবধূ সাদিয়ার হাত পা বেঁধে সন্তান প্রসব করায় বলে করেন নবজাতকের পিতা মাহাবুবুর হাসান অভিযোগ করেন।

অভিযোগে তিনি বলেন, পেটে সামন্য ব্যাথা অনুভব করায় গত বুধবার রাতে সাত মাসের অন্তঃসত্তা সাদিয়াকে প্রো-অ্যাকটিভ মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালে ভর্তি করান। তখন হসপিটালের প্রসূতি ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ নূরজাহান বেগমের তত্ত্বাবধানে তাকে ভর্তি করা হয়। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই সন্তান প্রসবের জন্য রাত ১০টায় অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় আমার স্ত্রী কান্না কাটি করতে থাকলে তার হাত ও পা রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে। পরে ৫৫ মিনিট পর থিয়েটার থেকে বের হয়ে ডাক্তার নূরজাহান বেগম বলেন বাচ্চার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে এনআইসিওতে ভর্তী করতে হবে। এনআইসিওতে নিয়ে যাওয়ার সময় বাচ্চার দেহের বিভিন্ন অংশে জখমের দাগ দেখে জিজ্ঞাসা করলে ডাক্তার রেগে যান। বিষয়টি হসপিটাল কর্তৃপক্ষকে জানালে তারাও অসদাচরণ করেন। জোরাজোরি করে বাচ্চা প্রসব করানোর কারণেই মৃত্যু হয়েছে বলে মাহবুবুর হাসানের অভিযোগ।

ডাক্তার নূরজাহান বেগম বলেন, রোগী সাত মাসের অন্তঃসত্তা ছিলেন। তাকে হসপিটালে আনার পর দেখি বাচ্চার মাথা নিচে নেমেছে। তাই দ্রুত লেবার রুমে নিয়ে নরমাল ডেলিভারি করা হয়। প্রসবের পর বাচ্চা ঠিকমত অক্সিজেন পাচ্ছিলোনা। তাই তাকে এনআইসিওতে রাখা হয়েছিল। কিন্তু বাচ্চাটিকে বাঁচানো যায়নি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে কথা বলতে অনিহা প্রকাশ করেন হাসপিটাল কর্তৃপক্ষ। নিহত নবজাতকের ছবি উঠাতে দেওয়া হয়নি। তবে নিহতের পিতার সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করা হবে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হসপিটালের মালিক পক্ষের একজন জানান।

অভিযোগ রয়েছে, প্রো-অ্যাকটিভ হসপিটাল এন্ড কলেজটি চালু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক ডক্তারের ভুল চিকিৎসা ও অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। এসব মৃত্যুর ঘটনায় স্বজনরা হাসপাতালে ভাঙচুরও চালিয়েছে। হসপিটালটির অপচিকিৎসা বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে গণমাধমের সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close