মেহেরপুর প্রতিনিধি
সোনালী ফাউন্ডেশন
গ্রাহকের জামানতের ৫০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও
এক লাখ জমা করলে ১০ লাখ টাকা ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণা
মেহেরপুরে ‘সোনালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি সামাজিক সংগঠন সহজ শর্তে ঋণ দেবার নামে সদস্যদের জামানতের প্রায় ৫০ লাখ টাকা নিয়ে আত্মগোপন করেছে। ‘মানবতার সেবায় আমরা গড়বো আগামীর দিন’ স্লোগানে মাখানো প্রচারপত্র বিলি করে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
শহরের যাদবপুর সড়কের ব্রিজের কাছে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে অফিস খুলে বসে ‘সোনালী ফাউন্ডেশন’। মো. শাহিদ নামের এক যুবক ব্রাঞ্চ ব্যবস্থাপক হিসেবে পরিচয় দেন। কয়েকজন অফিস সহকারিও ছিলো। ১০০ টাকা জমা দিয়ে সদস্য হলে মাত্র ১২ শতাংশ সুদের বিনিময়ে এক লাখ টাকা ঋণ, কোন সদস্য ১ লাখ টাকা জমা দিলে পাবে ১০ লাখ টাকা ঋণ। সদস্য হওয়ার পর আবেদনের একসপ্তাহ পরেই ঋণ দেয়ার লোভ দেখায় সহজ সরল মানুষকে। মাত্র এক মাসের মধ্যে অর্ধশত গ্রাহক বানিয়ে গত এক সপ্তাহ আগে সদস্যরা জামানত রাখে। তাদের জামানতের রসিদও দেওয়া হয়।
এদিকে সহজশর্তে ঋণ পেতে জেলা শহরের পশু হাসপাতাল পাড়ার আনোয়ার হোসেনের ছেলে হেলাল উদ্দিন ১ লাখ টাকা, গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে রিপন ৭৮ হাজার টাকা, চকশ্যামনগর গ্রামের রমজান আলী, যাদবপুর দক্ষিণ পাড়ার মিরাজুল ইসলামের স্ত্রী আশরাফুন্নেসাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ ঋণ পেতে জামানত দেয়। গত মঙ্গলবার তাদের ঋণ দেবার কথা ছিলো। সদস্যরা ওই দিন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ফটোসহ গিয়ে দেখেন অফিস বন্ধ। ব্যবস্থাপকের মোবাইলে ফোন দিলেও ফোন বন্ধ পাওয়াতে বুঝতে পারেন তারা প্রতারিত হয়েছেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্য পর্যন্ত অনেকেই হা-হুতাস করতে করতে অফিসে যান। অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ প্রতারককে খুজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে তাদের শান্তনা দেয়।
জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) কাজী কাদের ফজলে রাব্বি জানান, সোনালী ফাউন্ডেশন নামের কোন এনজির অনুমোদন নেই। প্রতারক চক্রর কারসাজি এগুলো।
গত সেপ্টেম¦র মাসে ‘পল্লি উন্নয়ন সমিতি’ নামের একটি সামাজিক ভুঁইফোড় সংগঠন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা থেকে সদস্যদের জামানতের অর্ধলাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়।
"