গাজী শাহাদত হোসেন ফিরোজী, সিরাজগঞ্জ

  ০৫ অক্টোবর, ২০২২

চলনবিলে শামুক নিধন হুমকিতে জীববৈচিত্র্য

সিরাগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার চলনবিলে অবাধে চলছে শামুক নিধন। এতে জীববৈচিত্র্য পড়েছে হুমকিতে আর বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। অবাধে শামুক নিধনের ফলে কৃষি জমির উর্বরতা শক্তিও কমে যাচ্ছে। চলনবিল এলাকায় নারী পুরুষ ও শিশুরা প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ডিঙি নৌকা, পায়ে হেঁটে বিলাঞ্চলের প্লাবিত ফসলি জমি থেকে শামুক সংগ্রহ করছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, চলনবিলের বিভিন্ন এলাকা থেকে শামুক সংগ্রহ করে তাড়াশ উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের দিঘী বাজার ঘাট, মাগুড়া তালপুুকুর ঘাট, নাদো সৈয়দপুর বাইর পাড়া ঘাট, বারুহাস ইউনিয়নের হেদার খাল সেতু এলাকা ও হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের আট নম্বর সেতু এলাকায় শ্যালো মেশিনের নৌকা করে গিয়ে শামুক সংগ্রহকারীরা বিক্রি করে থাকে। পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন খুলনা, বাগেরহাটসহ বিভিন্ন জেলায় চিংড়ি ঘেরে ট্রাকে করে শামুক নেওয়া হয়। প্রতিদিন প্রায় ৮ থেকে ১০ ট্রাক শামুক বিক্রি হয়ে থাকে। বর্তমানে প্রতি বস্তা শামুক বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।

শামুক বিক্রেতা আলিম, আলেয়া খাতুনসহ অন্যরা জানান, তারা বিল থেকে শামুক সংগ্রহ করে স্থানীয় ব্যাপারীর কাছে বিক্রি করে।

অপরদিকে চলনবিলে শামুক সংগ্রহকারী আয়েজ উদ্দিন, মিজান, আবজাল, পচা মন্ডল কুটিশ্বর, সুবোধ জানান, বর্ষা শুরু পর থেকে বিলে পানি থাকা পর্যন্ত তাদের কোনো কৃষিকাজ না থাকায় বিল থেকে শামুক সংগ্রহ এবং বিক্রি করেই সংসার চালাই। আষাঢ় থেকে আর্শ্বিন মাস পর্যন্ত চলে এই শামুক সংগ্রহ করে প্রতিদিন ৭০০-৮০০ টাকা রোজগার হয়।

তাড়াশের কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার লুনা বলেন, এভাবে শামুক নিধনে দিন দিন জমির উর্বরতা শক্তিও কমে যাচ্ছে। শামুক নিধন প্রতিরোধে তাদের কোনো আইন প্রয়োগ করার বিধান নেই। ইতিমধ্যেই আমরা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত শামুক নিধোন বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করব। ইতিমধ্যেই আমরা শামুক নিধনকারিদের সঙ্গে কথা বলেছি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close