সিরাজুল ইসলাম আপন, ভাঙ্গুড়া (পাবনা)

  ০৫ অক্টোবর, ২০২২

সংস্কারের কিছুদিন না যেতেই সড়ক বেহাল

ভাঙ্গুড়ার দক্ষিণ সারুটিয়া রেললাইন-পাটুলীপাড়া কবরস্থান রাস্তা

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার দক্ষিণ সারুটিয়া রেললাইন থেকে পাটুলীপাড়া কবরস্থান সড়ক ভেঙে বেহাল হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর থেকে অপরিকল্পিতভাবে দফায় দফায় সংস্কার করেও টিকছে না রাস্তাটি। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। তবু যেন কিছু করার নেই কর্তৃপক্ষের। ফলে সরকারের ক্ষতি হচ্ছে বড় অঙ্কের অর্থ। তবে স্থানীয়দের দাবি উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরের সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাব ও পুকুরের পাড় না বাঁধায় রাস্তাটি সংষ্কারের পর বেশি দিন টিকছে না।

সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের পাটুলীপাড়া কবর স্থান এলাকার প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা ভেঙে বেহাল দশা তৈরি হয়েছে। রাস্তার পাশেরই প্রায় ২০-২৫ ফুট গর্তের পুকুরের পাশ দিয়ে খাঁড়াভাবে বাঁশ, বাঁশের চাটাই ও তার দিয়ে আটকিয়ে রাস্তা সংস্কার করে সেখানে মাঠি ফেলে তা ঠেকিয়ে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা করা হয়েছে। গাইড ওয়ালগুলো অনেক আগেই ভেঙে দেবে গেছে। হেলে দুলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবহন চলাচল করছে।

জানা গেছে, ২০১৮ সালের প্রথমদিকে প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে তৈরি হয় দক্ষিণ সারুটিয়া রেল লাইন থেকে পাটুলীপাড়া চৌরাস্তা পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার রাস্তা। তারপরে থেকে সংস্কারের নামে চার বার হরিলুট হয় লাখ লাখ টাকা। দফায় দফায় সংষ্কার করেও টিকছে না রাস্তাটি। সামান্য বৃষ্টিতেই ভেঙে রাস্তা সংলগ্ন পুকুরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। পাটুলীপাড়া ও সারুটিয়া দুইটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি হেফজুল কোরআন কওমি মাদ্রাসা, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি কারিগরি কলেজসহ পাটুলীপাড়া চরপাড়া, চৌধুরীপাড়া, সরকারপাড়ার মানুষের চলাচলের অন্যতম প্রধান রাস্তা এটি। এই রাস্তা দিয়ে উপজেলা সদর, হাসপাতাল ও থানায় সেবা নিতে প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করে। আর চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনার স্বীকারও হয়েছে অনেকেই। তবু যেন কিছুই করার নেই কর্তৃপক্ষের।

অপরদিকে উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরের সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও দিকনির্দেশনার অভাবে প্রতি বছরই সংষ্কারের পরও কিছুদিন পরপরই ভেঙে যাচ্ছে রাস্তাটি। অথচ রাস্তার পাশেই প্রায় ২০-২৫ ফুট গর্তের পুকুরের পাশ দিয়ে কখনো বাঁশ, বাঁশের চাটাই ও তার দিয়ে রাস্তা সংস্কার করে সেখানে মাঠি ফেলে তা ঠেকিয়ে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা হয়েছে। ওই রাস্তাতে মোটা অঙ্কের বরাদ্ধ দিয়ে একাধিকবার উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরের অপরিকল্পিত গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হলে সেগুলোও অল্প দিনেই ভেঙে গেছে।

পার-ভাঙ্গুড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ মো. হেদয়েতুল হক বলেন, ওই রাস্তা নষ্টের জন্য মূলত রাস্তার পাশের দুইটি পুকুর দায়ী। রাস্তাটিতে চলাচলকারী মানুষ বহুদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এই দুর্ভোগের দ্রুত সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা প্রকৌশলী মোছা. আফরোজা খাতুনের অফিসে গেলে তিনি প্রতিদিনের সংবাদের প্রতিনিধি সঙ্গে অসদাচরণ করে দরজা থেকেই ফিরিয়ে দেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান সাংবাদিকের সঙ্গে অসদাচরণে তীব্র নিন্দা করে বলেন, ‘সাংবাদিক রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। তাদের সঙ্গে এমন আচরণ মোটেও কাম্য নয় বিষয়টি আমি দেখছি।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close