সাহারুল হক সাচ্চু, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ)

  ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২

উল্লাপাড়ায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি

ডেটাবেইসের অপেক্ষায় ৬ হাজার ৪৫৪ ভোক্তা

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ভেরিফাইড ডিজিটাল ডাটাবেজ প্রণয়ন কার্যক্রম চলছে মন্থর গতিতে। রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ৬ হাজার ৪৫৪ জন ভোক্তার নিবন্ধন হয়নি। এর মধ্যে উধুনিয়া ইউনিয়নে সবচেয়ে কম সংখ্যক ৬৬৪ জন ভোক্তার ডাটাবেজ হয়েছেন। এদিকে ১৫ টাকা কেজি দরের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলাররা তাদের বরাদ্দের মোট চাল উত্তোলন এবং ডাটাবেজ হওয়া ভোক্তাদের মাঝে চাল বিক্রি করছেন। এছাড়া ডাটাবেজ না হওয়া ভোক্তাদের চাল গুদামে হেফাজতে রাখতে হবে এমন কথা বলা হচ্ছে ডিলারদের।

উপজেলা খাদ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মোট ১৪টি ইউনিয়নের ১৫ টাকা কেজি দরের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর উপকারভোগী ভোক্তার সংখ্যা ২৪ হাজার ৪৮৯ জন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে উপকারভোগীদের ডিজিটাল ডাটাবেজ প্রণয়ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের ইউডিসিরা এ ডাটাবেজ করছেন।

রবিবার অবধি ১৪টি ইউনিয়নে ২৪ হাজার ৪৮৯ জনের মধ্যে ডাটাবেজ হওয়া ভোক্তার সংখ্যা ১৮ হাজার ৩৫ জন। উধুনিয়া ইউনিয়নে মোট ১ হাজার ৬৩০ জন ভোক্তার মধ্যে ৬৬৪ জনের ডাটাবেজ হয়েছে। উধুনিয়া ইউনিয়নের ইউডিসি মো. হাফিজ জানান তিনি ভোক্তা আসলেই ডাটাবেজ করে দিচ্ছেন। উপজেলার সলঙ্গা ইউনিয়নের মোট ১৭০০ ভোক্তার মধ্যে ১ হাজার ৩৯৬ জনের ডাটাবেজ হয়েছে। সদর উল্লাপাড়া ইউনিয়নে ১ হাজার ২৪৬ জন, রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নে ১ হাজার ৫২০ জন, বাঙ্গালায় ১ হাজার ৯৭ জন, বড় পাঙ্গাসীতে ১ হাজার ১৭৩ জন, দূর্গানগরে ১ হাজার ৪৪৮ জন, পূর্ণিমাগাঁতীতে ১ হাজার ৩১৯ জন, হাটিকুমরুলে ১ হাজার ৪৫৬ জন, বড়হরে ১ হাজার ৫৭৫ জন, পঞ্চক্রোশীতে ১ হাজার ৩৫৪ জন, সলপে ১ হাজার ২৫৪ জন, মোহনপুরে ১ হাজার ১৯৩ জন ও কয়ড়া ইউনিয়নে ১ হাজার ৩৩০ জনের ডাটাবেজ হয়েছে।

এদিকে উল্লাপাড়া উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর মোট ডিলার সংখ্যা ৪৬ জন। চলতি সেপ্টেম্বর মাসের বরাদ্দের চাল ডিলাররা উত্তোলন এবং খাদ্য অফিস থেকে ডাটাবেজ হওয়া তালিকাভুক্ত ভোক্তাদের মাঝে চাল বিক্রি করছেন। তবে একাধিক ডিলারের বক্তব্য তারা বরাদ্দের মোট চাল উত্তোলন করে এলাকায় বিক্রি পয়েন্টে নিয়েছেন। সব ভোক্তার ডাটাবেজ না হওয়ায় (ডাটাবেজ না হওয়া ভোক্তাদের) অনেক চাল গুদামে মজুদ রাখা হচ্ছে।

উপজেলার উধুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম বলেন, তার ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর উপকারভোগী ভোক্তারদের বেশী জনের নাম ঠিকানা ভুল, একই পরিবারে একাধিক জন ও ধনী ব্যক্তি রয়েছেন। তিনি এসব চিহ্নিত করে প্রায় ৯০০ জন ভোক্তার সঠিক নাম প্রতিস্থাপন করবেন বলে জানান তিনি। আগামী এক দুদিনের মধ্যে এ তালিকা অনুমোদনের জন্য উপজেলা খাদ্য বিভাগে জমা দেওয়া হবে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. শফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর উপকারভোগী ভোক্তারদের ডাটাবেজ দ্রুত শেষ করতে তিনি নিজে ছাড়াও তার বিভাগ থেকে ইউডিসিদের বলা হচ্ছে। এছাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবদেরকে নিজ নিজ ইউনিয়নের ভোক্তাদের ডাটাবেজ দ্রুত শেষ করতে সব সময় যোগাযোগ করা হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close