গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

  ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২

মধুমতীর ভাঙনে হারিয়ে যাচ্ছে বসতভিটা ও আবাদি জমি

গোপালগঞ্জে মধুমতী নদীর ভাঙনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামের মানুষের চিরচেনা বসতভিটা ও আবাদি জমি। এক সপ্তাহ ধরে ৫০০ মিটার নদীভাঙনে ১৮টি বসতবাড়ি, প্রচুর গাছপালা ও ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের ইছাখালী গ্রামের ডুবশী, মোল্লাপাড়া এবং ধলইতলা এলাকার মানুষ এখন নদীভাঙনের কারণে দিশাহারা। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড ১০ হাজার বালুর বস্তা ফেলে নদীভাঙন প্রতিরোধের উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত ১৮টি পরিবারে ২ লাখ ৫২ হাজার টাকা, পরিবার প্রতি ৩০ কেজি চাল ও ২৪ খানা ঢেউটিন, শিশু খাদ্য, গো-খাদ্য ও শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন। গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফয়জুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহসিন উদ্দীন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিরুন্নাহার ইউসুফসহ পদস্থ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ইছাখালী গ্রামের ডুবশী মোল্লাপাড়া এলাকার বাসিন্দা হাজি আবদুল কাফি মোল্লা (৭২) বলেন, আমার ওয়ালসেট টিনের বড় বসতঘর, ১০ বিঘা জমি, স্যালো মেশিন নদীতে বিলীন হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকার। জেলা প্রশাসক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আমাদের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। নদীভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আমরা স্থায়ীভাবে নদীভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই। এ ব্যাপারে জালালাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এফ এম মারুফ রেজা বলেন, আমার ইউনিয়নে ইছাখালী, ডুবশী ও ধলইতলায় প্রায় ৫০০ মিটারজুড়ে নদীভাঙন হয়েছে। ১৮টি পরিবার বসতঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। জেলা প্রশাসনের কাছে আমরা এখানে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি করেছি। গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, আপতত নদীভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছি। ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করে দেয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে টাকা, ঢেউটিন ও চাল দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফয়জুর রহমান বলেন, ইছাখালী গ্রামের ডুবশী মোল্লাপাড়া চরে নদীভাঙন প্রতিরোধে ১০ হাজার বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে। ব্যাগে বালু ভরার কাজ চলছে। এগুলো গণনা করে নদীতে ফেলা হবে। স্থায়ী নদীভাঙন প্রতিরোধ করতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close