মেহেদী হাসান মামুন, তজুমদ্দিন (ভোলা)

  ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২

প্রযুক্তির ছোঁয়ায় ঝিমিয়ে পড়েছে তজুমদ্দিনের ডাক বিভাগ

হারিয়ে যেতে বসেছে কালি, কলম, মন এ তিনের সমন্বয়ের চিঠি। হারিয়ে যাচ্ছে হলুদ, নীল খামে প্রিয়জনকে কাগজে লেখার সেই আবেগ। ফুরিয়ে গেছে ডাকঘরের মাধ্যমে চিঠি পাঠানো কিংবা টেলিগ্রাম সেবার প্রয়োজনীয়তা।

একসময় ডাক বিভাগ ছিল যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। চিঠি, পণ্য পার্সেল, টাকা পরিবহনে একমাত্র ভরসা ছিল ডাক বিভাগ। প্রতিদিন খামে পুড়ে চিঠি রাখতেন সাধারণ মানুষ। প্রতিদিন সেগুলো খুলে ডাকপিয়নরা বিভিন্ন ঠিকানায় পাঠাতেন।

কিন্তু সময়ের সঙ্গে সব বদলে গেছে। প্রযুক্তির উন্নতির কারণে হাতে লেখা চিঠির কদর কমে গেছে। তাই এখন আর ডাক বক্সগুলো ব্যবহার হয়না। দু’একটি ছাড়া বেশির ভাগই ভাঙা ও মরিচা পড়ে নষ্ট হওয়ার পথে। একসময় পোস্ট বক্সে প্রচুর চিঠি পরলেও বর্তমানে বক্সে একটি চিঠিও পড়ে না। এক সময় মানুষের সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিল ডাক যোগাযোগ। দিনে দিনে কমেছে ডাক বা চিঠিপত্র আদান প্রদান। ডাকপিয়নও এখন তেমন চোখে পড়ে না।

বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়ে। অনেক উন্নত পরিসরে চলছে মানুষের সামাজিক যোগাযোগব্যবস্থা। এখন মানুষ ডাকযোগে যোগযোগের মাধ্যম পরিহার করে মোবাইল, ইন্টারনেট, ফেসবুকিং, ই-মেইল, কিংবা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় যোগাযোগ করে থাকেন। আর এসবের ব্যাবহারও চলছে জোরালো গতিতে। তাই মানুষজন এখন ভুলে গেছেন সেই মান্দাতা আমলের ডাকযোগে চিঠিপত্রের কথা।

তজুমদ্দিন উপজেলার প্রধান পোস্ট অফিসের পোস্টমাস্টার সুজিত চন্দ্র দে জানান, পোস্টকার্ড, খাম আগের মতো আর সাপ্লাই নেই। অফিস, আদালতের চিঠিপত্র ছাড়া ব্যক্তিগত চিঠিপত্রের সংখ্যা অনেক কম। কর্মচারীর স্বল্পতাও আছে। রেজি., জিপি পার্শ্বেল, ইস্যু এবং বিলি, সঞ্চয়পত্রের কাজ অনলাইনে হচ্ছে। এফডি, এসবি, সঞ্চয়পত্র সবগুলো পারিবারিক সঞ্চয়পত্র জিইপি পোস্ট অফিসে চালু আছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে পোস্ট অফিসের গতি কিছুটা অব্যহত থাকলেও আগের মতো নেই। পোস্ট অফিসের অবকাঠামো উন্নয়নের দিকে নজর দেওয়া উচিত। তজুমদ্দিনে উপজেলায় পোস্ট অফিসের সংখ্যা ১০টি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close