জুয়েল রানা লিটন, নোয়াখালী

  ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

ড্রাগন চাষে স্বপ্ন বুনছেন সুবর্ণচরের চাষিরা

কৃষকদের আন্তরিক প্রচেষ্টা আর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগীতায় নোয়াখালীর বাজারে ড্রাগন দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। পরিশ্রম প্রিয় সেন্ট্রাল আমেরিকার পর্যটন নগরী মেক্সিকোর সবচেয়ে প্রসিদ্ধ ভিটামিন, মিনারেল ও উচ্চ ফাইবার যুক্ত ফল ড্রাগন। বর্তমানে মালেশিয়া, ভিয়েতনাম, চিন, ইসরায়েল, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার গন্ডি পেরিয়ে বাংলদেশের মাটিতেও বেশ জনপ্রিয় ফলটি। স্বাদ ও পুষ্টিতে অনন্য এ ফল চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চাষিরা।

জানা গেছে, ২০০৭ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. এম.এ রহীম ড্রাগন ফলের জাত নিয়ে আসেন থাইল্যান্ড, ফ্লোরিডা ও ভিয়েতনাম থেকে। দেশের মাটিতে বেশ খাপ খাইয়ে নেওয়া ফলটি দেড় যুগ না পেরুতেই বানিজ্যিক আকারে চাষ শুরু হয়েছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। গত বছরই প্রথম সরকারি প্রনোদনায় প্রায় দেড় শতক জমিতে সুবর্ণচরের ২৫ জন কৃষক ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করে। গাছ রোপনের দেড় বছরে বাম্পার ফলন পেয়ে চাষিদের আনন্দের শেষ নেই।

কয়েকজন চাষিরা জানায়, সরকারি প্রণোদনার পাশাপাশি সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ইউটিউব দেখেও ড্রাগন ফল চাষের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন অনেকে। লোক দেখাদেখিতেও বাড়ছে ড্রাগন ফলের চাষ। ন্যায্য দাম পেয়ে আত্মতৃপ্তির ডেকুর তুলছেন চাষিরা। সরকারি বীজ, সার, কিটনাশক প্রদান ও আন্ত পরিচর্যা বাবদ সহযোগীতা বলবৎ থাকলে দিনদিন এ ফলের চাষ বাড়বে বলে মনে করছেন চাষিরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, সুবর্ণচরের ৩৮ হাজার হেক্টর আবাদি জমিতে তেল ও ডাল ফসলের পাশাপাশি দেশিয় ও পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ বিদেশি ফল আবাদে কৃষি বিভাগ নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষকদের প্রশিক্ষণ এবং আর্থিকভাবে সহযোগীতার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়ার কথাও জানান তিনি। কম সময়ে উৎপাদিত অধিক লাভজনক এ ফল উৎপাদন করে এ উপজেলায়, জেলায়ু চাহিদা মিটিয়ে দেশের মানুষের ভিটামিন, মিনারেল আর ফাইবারের চাহিদা মেটাবে এমনটাই মনে করছে সুবর্ণচরের কৃষি বিভাগ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close