চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

চিলমারীর অষ্টমীর চর ইউনিয়নের ডাটিয়ারচর

ড্রামের ভেলা-ই দুই গ্রামবাসীর ভরসা

কুড়িগ্রামের চিলমারীর উপজেলার অষ্টমীর চর ইউনিয়নের ডাটিয়ার চর এলাকায় রাস্তা সহ সেতুর অভাবে দুই গ্রামের হাজারও মানুষের চলাচলের দেখা দিয়েছে দুর্ভোগ। অনেক আগে চরের এক এলাকায় বন্যার পানি নেমে যেতে সড়কের কিছু অংশ কেটে দেয় স্থানীয়রা। কিন্তু সেটাই এখন দীর্ঘ ২৫ বছর থেকে দুই গ্রামের মানুষের চলাচলে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জানা গেছে, পাঁচমাস আগে ড্রামের ভেলা করে দেন উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন কমিটির সদস্য জাহিদ আনোয়ার পলাশ। তবে ২৪ বছর থেকে বন্যা ও বর্ষা মৌসুমে ছোট ডিঙি নৌকা দিয়ে পারাপার হতেন স্থানীয়রা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচন এলেই শুধু আশ্বাসই দিয়েছেন এমন অভিযোগ ওই এলাকাবাসীদের। এদিকে সরেজমিন পরিদর্শন শেষে মাটি ভরাট করে সেতু করার কথা জানিয়েছেন প্রশাসন। শুকনো মৌসুমে পায়ে হেঁটে গেলেও ঘোড়ার গাড়ি চলাচলে পোহাতে হয় ভোগান্তি। তবে বন্যা ও বর্ষা মৌসুমে চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায় ডিঙি নৌকা। বর্তমানে ড্রামের ভেলাই চলাচল করছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। যাতায়াত করতে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখিন হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। স্থানীয়রা বলছেন দ্রুত এই সমস্যার সমাধান যেনো হয়। দক্ষিণ নটারকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেরিনা, মিদুল, মহিবুল ও জেমি বলেন, আমাদের প্রতিদিন এই ড্রামের ভেলায় করে পাড় হয়ে স্কুলে যেতে হয়। ভেলায় উঠতে ভয় হয়। এখন আমাদের রাস্তা করে দিলে ভালো হবে।

ওই এলাকার বাসিন্দা সোলাইমান বলেন, ২৫ বছর থেকে এখানে রাস্তা নাই আমরা চলাচল করতে পারি না ঠিকভাবে। বৃষ্টির সময়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় চলাচল করতে। সামনে বাজার কিন্তু ভারি জিনিস নিয়ে আসতে কষ্ট হয়।

চাঁন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, এখানে নির্বাচন আসলে সবাই রাস্তা ঘাট ঠিক করে দিতে চায়। কিন্তু নির্বাচন শেষ হলে আমাদের আর খোঁজও নেন না কেউ। কিছু দিন আগে এক জন আসি ড্রামের ভেলা করে দিছে। এখন একটু পারাপার হওয়া যায়। ওই এলাকার বাসিন্দা সানাউল বলেন, ‘ইউএনও স্যার আসছিলো এখানে সেতু করে দিতে চাইছে। কিন্তু সেতু কবে পাবো সন্দেহে আছে।’ উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন কমিটির সদস্য জাহিদ আনোয়ার পলাশ জানান, ওই এলাকার সমস্যা অনেক দিনের। কিন্তু জনপ্রতিনিধিরা কেনো কাজটি করছেন না সেটা বুঝে আসে না।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close